০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মুম্বইকে জয়ে ফেরালেন বুমরা

মুম্বইকে জয়ে ফেরালেন বুমরা - ফাইল ছবি

জয়ের জন্য পাঞ্জাব কিংসের লক্ষ্য ছিল ১৯৩ রান। আইপিএলে যেভাবে রান হচ্ছে, তাতে এই রান না হওয়ার কিছু ছিল না। যদি না বিপক্ষের বোলারের নাম হয় যশপ্রীত বুমরা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ব্যাট হাতে দাপট ছিল সূর্যকুমার যাদবের। বল হাতে সেই কাজটা করলেন বুমরা। আর পাঁচবারের আইপিএলজয়ী মুম্বই জিতল ৯ রানে। ব্যর্থ আশুতোষ শর্মার লড়াই। চেষ্টা করেও জেতাতে পারলেন না পাঞ্জাবকে।

বৃহস্পতিবার টস জিতে মুম্বইকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন স্যাম কারেন। পাঞ্জাবের অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। তার জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কারেন। মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য যদিও টস জিতলে প্রথমে ব্যাট করতেন বলে জানালেন।

মুম্বইয়ের ওপেনার ঈশান কিশন রান পাননি। ৮ বলে ৮ রান করে কাগিসো রাবাডা নির্বিষ বলে আউট হলেন তিনি। রাবাডাও ভাবেননি যে, তিনি ওই বলে উইকেট পাবেন। তবে ঈশান আউট হতেই নামেন সূর্যকুমার। শুরু থেকেই বড় শট খেলার চেষ্টা করছিলেন তিনি। সেই সাথে ছিলেন রোহিত শর্মা। যিনি বৃহস্পতিবার আইপিএলে ২৫০তম ম্যাচ খেলে ফেললেন। সেই ম্যাচে নজিরও গড়লেন। আইপিএলে ৬৫০০ রানের গণ্ডি পার করলেন রোহিত। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার করলেন ২৫ বলে ৩৬ রান।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সূর্যকুমার ভারতীয় দলকে স্বস্তি দিলেও চিন্তায় রাখছেন রোহিত। এবারের আইপিএলে রান পাচ্ছেন না তিনি। বল হাতেও খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারছেন না। বরং তিলক বর্মা ১৮ বলে ৩৪ রান করে দলকে ভরসা দিলেন। তিনি বলও করতে পারেন। আগামী দিনে হার্দিকের বদলে তিলককে ভারতীয় দলে দেখা গেলে খুব অবাক হওয়ার থাকবে না।

১৯৩ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ২.১ ওভারেই ৪ উইকেট পড়ে যায় পঞ্জাবের। প্রভসিমরন সিংহ (০), রিলি রুসো (১), স্যাম কারেন (৬) এবং লিয়াম লিভিংস্টোন (১) সাজঘরে। নেপথ্যে বুমরা এবং জেরাল্ড কোয়েৎজি। প্রথম উইকেট নেন কোয়েৎজি। পরের ওভারে বুমরা এসে দু’টি উইকেট তুলে নেন। তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে কোয়েৎজি আরো একটি উইকেট নেন। ম্যাচের ভাগ্য তখনই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল প্রায়।

১৪ রানে ৪ উইকেট হারানো পঞ্জাব ঘুড়ে দাঁড়ায় সেই শশাঙ্ক সিংহ এবং আশুতোষ শর্মার হাত ধরে। ২৫ বলে ৪১ রান করে শশাঙ্ক আউট হলেও আশুতোষ লড়াই চালিয়ে যান। হরপ্রীত ব্রারকে সাথে নিয়ে লড়ছিলেন তিনি। ২৮ বলে ৬১ রান করেন আশুতোষ। তিনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ততক্ষণ আশা ছিল পাঞ্জাবের।

শেষ চার ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৮ রান। মনে হচ্ছিল আশুতোষই জিতিয়ে দেবেন। এমন সময় বল করতে এলেন বুমরা। দিলেন মাত্র ৩ রান। সেখানেই ম্যাচ ঘুরে গেল। চাপ বেড়ে যায় আশুতোষের উপর। পরের ওভারের প্রথম বলেই কোয়েৎজি তুলে নেন আশুতোষের উইকেট। লেগ সাইডে ফিল্ডার বেশি রেখে বাউন্সার করেন কোয়েৎজি। তাতেই কাজ হয়। পুল করতে গিয়ে তুলে দেন আশুতোষ। আগের ওভারে মাত্র ৩ রান হওয়ার চাপ যে তখন তার মাথায়। আর আশুতোষ আউট হতেই জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় পাঞ্জাবের।

তবে ১৯তম ওভারে বল করতে এসে ১১ রান দিয়ে পঞ্জাবকে আবার জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন হার্দিক। অধিনায়ক হিসেবেও তার ভুল বার বার চোখে পড়ল। প্রথম চার ওভারে যে চাপ বুমরা এবং কোয়েৎজি তৈরি করেছিলেন, সেটা ধরে রাখতে পারলেন না বাকিরা। হার্দিক ওই সময় বুমরা এবং কোয়েৎজিকে আরো এক ওভার করানোর সাহসটা দেখাতে পারলেন না। মোহম্মদ নবিকে দলে নিলেও তাকে দিয়ে এক ওভারও বল করালেন না। শ্রেয়স গোপালের থেকে নবি হয়তো অভিজ্ঞতা দিয়ে বেশি কার্যকরী হতেন। কিন্তু হার্দিক সে পথে গেলেন। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বুমরার সাথে কথা বলতে দেখা গেল রোহিতকেও। বুমরা ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। কোয়েৎজিও ৩ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন আকাশ মাধওয়াল, হার্দিক এবং শ্রেয়স।

চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হারের পর আবার জয়ে ফিরল মুম্বই। এই জয় হার্দিকদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে। তবে পাঞ্জাবকে ভাবতে হবে আশুতোষ এবং শশাঙ্ককে আরো আগে নামানো যায় কি না। তাতে হয়তো পাঞ্জাবেরই উপকার হবে।


আরো সংবাদ



premium cement