২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সিলেট টেস্টে শোচনীয় হার বাংলাদেশের

৮৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল - ছবি - ইএসপিএন

সিলেট টেস্টে জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হতো বাংলাদেশকে, টপকাতে হতো পাঁচ শতাধিক রানের পাহাড়! এর আগে যা করে দেখাতে পারেনি কেউ। ফলে অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো শান্তদের। কিন্তু তা আর হলো না, ১৮২ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। লঙ্কানরা পেল ৩২৮ রানের বিশাল জয়।

শুক্রবার সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। যেখানে আগে ব্যাট করে ২৮০ রান তুলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৮৮ রানে। ৯২ রানের লিড পায় শ্রীলঙ্কা। যার সাথে দ্বিতীয় ইনিংস থেকে আরো ৪১৮ রান যোগ করে তারা।

কাগজে-কলমে এখনো সম্ভাবনা থাকলেও সিলেট টেস্টে হার নিশ্চিত জেনেই চতুর্থ দিনে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ৫১১ রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনে ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জয়ের আশা করাটা নিছকই স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু ছিল না।

ধারণা করা হচ্ছিল, হয়তো সোমবার প্রথম সেশনেই গুটিয়ে যাবে স্বাগতিকেরা। সকাল সকাল তাইজুল ইসলামকে হারানোর পর আরো গভীর হয় সেই আশঙ্কা। ৫১ রানে ৬ উইকেট হারানো দল আর কিইবা করতে পারে!

তবে মুমিনুল হক আর মেহেদী মিরাজ জুটি প্রথম সেশনটা নিজেদের করেই রাখেন। বড় হয় লঙ্কানদের জয়ের অপেক্ষা। দ্বিতীয় সেশনেই অবশ্য জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। একপ্রান্ত আগলে রেখে মুমিনুল জাগিয়েছিলেন শতকের সম্ভাবনা, তবে শেষ পর্যন্ত তাও হয়নি।

সোমবার দিনের শুরুতে তাইজুল ফেরেন ৬ রানে। চতুর্থ দিনে এসে কোনো রান যোগ করতে পারেননি তিনি। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে ১০৫ বলে ৬৬ রান যোগ করেন মেহেদী মিরাজ ও মুমিনুল হক মিলে। মিরাজ আউট হন ৩৩ করে।

তবে একদিক থেকে দারুণ খেলে ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। ছিলেন শতকের অপেক্ষায়। তবে অপরপ্রান্ত থেকে সমর্থন না পাওয়ায় ১৪৮ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

কাসুন রাজিথা একাই নেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্দো।


আরো সংবাদ



premium cement