৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট দল ঘোষণা

আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট দল ঘোষণা - ছবি : সংগৃহীত

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ২০২২ সালের বর্ষসেরা টেস্ট দল ঘোষণা করেছে। দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস।

মঙ্গলবার এক বছরের পারফরমেন্সের ভিত্তিতে আইসিসি অন্য ফর্মেটের ন্যায় ২০২২ সালের বর্ষসেরা টেস্ট দল ঘোষণা করে। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ চারজন জায়গা পেয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনজন ইংল্যান্ডের। একজন ক্রিকেটার আছেন ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার।

উসমান খাজা (অস্ট্রেলিয়া) :
তিন বছর পর ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলে ফেরেন খাজা। সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তন টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি তুলে নেন খাজা। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গত বছর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন খাজা। ১১ ম্যাচের ২০ ইনিংসে ৪টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১০৮০ রান করেন তিনি।

ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) :
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে বড় অবদান রাখেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট। সিরিজে সর্বোচ্চ ৩৪১ রান করেন তিনি। দেশের হয়ে গত বছর সর্বোচ্চ রানও তার। ১৪ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬৮৭ রান করেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সর্বোচ্চ ১৬০ রানের ইনিংসটিই ছিল ব্র্যাথওয়েটের সেরা।

মার্নাস লাবুশেন (অস্ট্রেলিয়া) :
গত বছরের শুরুতে ছন্দে ছিলেন না লাবুশেন। বছরের মাঝপথে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। প্রথম ১০ ইনিংসে ছিলেন সেঞ্চুরিহীন। বছরের মাঝে এসে সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। এরপর আরো ৩টি সেঞ্চুরি করেন লাবুশেন। পার্থে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরিসহ ১৯ ইনিংসে ৯৫৭ রান করেন লাবুশেন।

বাবর আজম (পাকিস্তান) :
ব্যাট হাতে গত বছরে ফর্মের তুঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর। টেস্টে গত বছর ৪টি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফ-সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ১১৮৪ রান করেন বাবর। ঘরের মাঠে দুই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৯০ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪৮ রান করেন তিনি।

জনি বেয়ারস্টো (ইংল্যান্ড) :
ক্যারিয়ার সেরা বছর কাটিয়েছেন ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো। বছরের শুরুতে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন বেয়ারস্টো। পা ভেঙ্গে যাওযায় পাকিস্তান সফরে যেতে পারেননি। জুনে মাঠে ফেরার পর বিধ্বংসী রূপ নেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরপর দুই টেস্টে ও ভারতের বার্মিংহাম টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন বেয়ারস্টো। ৬টি সেঞ্চুরি ও ১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৯ ইনিংসে ১০৬১ রান করেন তিনি।

বেন স্টোকস (অধিনায়ক) (ইংল্যান্ড) :
২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে অধিনায়কত্ব নিয়ে ইংল্যান্ডকে পাল্টে দেন স্টোকস। তার অধীনে ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে জয় পায় ইংলিশরা। ব্যাট হাতেও দারুণ পারফরমেন্স ছিলো তার। ২টি সেঞ্চুরিতে ২৬ ইনিংসে ৮৭০ রান করেন তিনি। বল হাতে ২৬ উইকেট শিকার ছিলো তার।

ঋসভ পান্থ (ভারত) :
২০২২ সালটিও দারুণ পার করেছেন ভারতের পান্থ। ব্যাট হাতে ৯০ দশমিক ৯০ স্ট্রাইক রেটে ১২ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি ও ৪টি হাফ সেঞ্চুরিতে ৬১ দশমিক ৮১ গড়ে ৬৮০ রান করেন তিনি। হাঁকিয়েছেন ২১টি ছক্কাও। উইকেটের পেছনে ২৩টি ক্যাচ ও ৬টি স্টাম্পিং করেন পান্থ। বছরের শেষ দিকে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পান্থ।

প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া) :
কামিন্সের নেতৃত্বে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে বছর শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। তার অধিনাকত্ব ছিলো প্রশংসনীয়। বল হাতে ১০ ম্যাচে ৩৬ উইকেট নেন কামিন্স। লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারনী টেস্টে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নেন কামিন্স। তার বোলিং নৈপুন্যে শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় করে অস্ট্রেলিয়া। বছরের শেষটাও দারুন ছিলো কামিন্সের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্রিজবেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা) :
গেল বছর টেস্টে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন রাবাদা। অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লিঁওর সাথে ৪৭টি উইকেট নেন তিনি। রাবাদা খেলেন ৯ টেস্ট। চার দলের বিপক্ষে খেলা টেস্ট সিরিজের প্রত্যকটিতেই অন্তত ১০টি করে উইকেট নেন রাবাদা।

নাথান লিঁও (অস্ট্রেলিয়া) :
১১ টেস্টে ৪৭ উইকেট নিয়েছেন লিঁও। পাকিস্তান সফরে ১২ উইকেট ও শ্রীলংকার সফরে ১১ উইকেট নেন তিনি। ঘরের মাঠে পেসবান্ধব উইকেটে ২৪ উইকেট শিকার করেন লিঁও।

জেমস এন্ডারসন (ইংল্যান্ড) :
৪০ বছর বয়সে বিশ্বমানের পারফরমেন্স অব্যাহত ছিলো এন্ডারসনের। গেল বছর ৯ টেস্টে ৩৬ উইকেট শিকার করেন তিনি। গড় ছিলো ১৯ দশমিক ৮ ও ইকোনমি ছিলো ২ দশমিক ৪২।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement