আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের মালিক তিনি। সেই বিরাট কোহলিই আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারার রেকর্ড গড়ে ফেললেন। যা মোটেই কোহলি সুলভ নয়। শুক্রবার চলতি আইপিএলে টানা পঞ্চম ম্যাচ হেরে গেল আরসিবি। প্লে–অফের রাস্তা বড় কঠিন হয়ে গেছে। ৪৯ বলে ৮৪ রান করলেও বিরাটের দল জিততে পারেনি।
টি২০ ক্রিকেটে বিরাট দ্বিতীয় ক্রিকেটার, যার ৮০০০ রান রয়েছে। আইপিএলে ১৬৮ ম্যাচে ৫১১০ রান। টপকে গেছেন সুরেশ রায়নাকে। কিন্তু আইপিএলের ১২ বছরের ইতিহাসে বিরাট ৮৬ ম্যাচ হেরে বসে আছেন। শুক্রবার তো রাসেল ঝড়ে আরসিবি পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে।
ম্যাচ শেষে ভয়ানক বিরক্ত বিরাট বলে দিয়েছেন, ‘শেষ চার ওভারে আমাদের বোলাররা যেভাবে রান দিয়েছে। তা মানা যায় না। আমরা চাপের মুখে ম্যাচ বের করতে পারছি না। বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রান দিচ্ছি। ব্যাট হাতে সঠিক সময়ে রান বাড়াতে পারছি না। তাও আমি আর এবিডি আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়ত ২২৫–২৩০ উঠত। শেষের দিকে রান কিছু কম হয়ে গেল।’
হতাশ বিরাট
আইপিএল ভাগ্য বরাবরই খারাপ বিরাট কোহলির৷ দেশের জার্সিতে নেতৃত্ব দিয়ে সাফল্য পেয়েছেন৷ কিন্তু আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সিতে সাফল্যের রেকর্ড শূন্য বিরাটের৷ দ্বাদশ আইপিএলেও সেই শূন্যতা ভরাট হওয়ার সম্ভাবনাও কম৷ টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে লিগ টেবলে ‘লাস্ট বয়’ কোহলির রয়্যালবাহিনী৷ শুক্রবার ঘরের মাঠে কেকেআর-এর বিরুদ্ধে ২০৫ রান তুলেও হার হজম করায় চূড়ান্ত হতাশ ক্যাপ্টেন কোহলি৷
চিন্নাস্বামীতে প্রথম ব্যাটিং করে বিরাট ও এবিডি জুটিতে নাইটদের সামনে ২০৬ রানে টার্গেট দিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স৷ রান তাড়া করতে নেমে নাইটদের শুরুটা মন্দ না-হলেও তার পর কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসেছিল বিরাটরা৷ কিন্তু সেখান থেকেও ছন্দপতন৷ শেষ চার ওভারে নাইটদের জেতার জন্য দরকার ছিল ৬৬ রান৷ টি-২০ যুগেও ২৪ বলে ৬৬ রান তোলাও দুষ্কর৷ কিন্তু রাসেল ম্যাজিকে তা সম্ভব করে কেকেআর৷ ৫ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় কলকাতা নাইটরাইডার্স৷
মূলত রাসেলের কাছে হার হজম করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স৷ মাত্র ১৩ বলে সাত ছক্কা ও একটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৮ রানে অপরাজিত থেকে বিরাটদের স্বপ্নভঙ করেন নাইটদের এই ‘ক্যারিবিয়ান দৈত্য’৷ শেষ ২ ওভারে নাইটদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩০ রান৷ কিন্তু ১৯তম ওভারে টিম সাউদিকে ২৯ রান নিয়ে ম্যাচ পকেটে পুরে নেন রাসলে৷ পাঁচ বল বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় কেকেআর৷ সাউদির ওভারে চার ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি মারেন রাসেল৷ প্রথম চার বল খেলে মাত্র এক রান করা রাসেল বাকি ৯ বলে করেন ৪৭ রান৷
ম্যাচ শেষে তাই বিরাটের গলায় হতাশার সুর৷ রয়্যাল অধিনায়ক বলেন, ‘শেষ চার ওভারে আমরা যা বল করেছি, তাতে আমাদের হারায় সম্ভব৷ এটা মেনে নেওয়া যায় না৷ ক্রঞ্চ ওভারে নার্ভ ঠিক রেখে বল করতে না-পারলে জেতার আশা করা বৃথা৷ তাহলে তো রাসেলের মতো পাওয়ার হিটারের কাছে হার মানতেই হবে৷ এমনটা হলে শেষ চারে ওভারে ৭৫ রানও যথেষ্ট নয়৷ জানি না, ১০০ রান সেভ কিনা৷ এটা আমাদের কাছে হতাশাজনক মরশুম৷’
অথচ দিনের শুরুটা ছিল বিরাটদের৷ ওপেনিং জুটিতে বিরাট ও পার্থিব প্যাটেল ৬৪ রান যোগ করার পর এবিডি-র সঙ্গে ১০৮ রান যোগ করে দলকে ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছে দেন ক্যাপ্টেন৷ ৪৯ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট৷ আর এবিডি করে ৩২ বলে ৬৩ রান৷ তার পর স্টওনিস ১৩ বলে ২৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন৷
দল হারলেও এদিন ব্যক্তিগত মাইলস্টোনে পৌঁছন কোহলি৷ ব্যক্তিগত ৬১ রানে পৌঁছতেই সুরেশ রায়নাকে টপকে আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের মালিক হন বিরাট৷ ১৬০ ইনিংসে কোহলির রান ৫,১১০ রান৷ গড় ৩৮.২৪৷ আইপিএলে রায়নাকে টপকে গেলেও টি-২০ ফর্ম্যাটে অবশ্য রায়নার পিছনে রয়েছেন কোহলি৷ তবে টি-২০ ফর্ম্যাটে এদিন ৮০০০ রানের গণ্ডি টপকে যান বিরাট৷
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা