ওভালে ভারতের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্টের পরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ব্যাট-প্যাড চিরতরে তুলে রাখবেন অ্যালিস্টার কুক। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টের আগে নিজের পছন্দের সবর্কালের সেরা টেস্ট একাদশ বেছে নিলেন দীর্ঘতম ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী এই ব্রিটিশ তারকা।
তবে কুকের সেরা একাদশ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ এই তালিকায় নেই কোনো ভারতীয়। এমনকী তার এক সময়ের সতীর্থ কেভিন পিটারসেনও নেই এই একাদশে।
কুক নিজের পছন্দের টেস্ট দল গড়েছেন তাদের নিয়েই, কোনো না কোনো সময় যাদের সাথে অথবা বিপক্ষে তিনি খেলেছেন। একমাত্র ব্যতিক্রম তার মেন্টর তথা ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান গ্রাহাম গুচ।
গুচকে শুধু দলেই রাখেননি কুক, তাকে নিজের পছন্দের দলের ক্যাপ্টেনও বানিয়েছেন। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ হেডেনের সাথে ইনিংসের গোড়াপত্তন করার দায়ভারও দিয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ তারকার কাঁধে।
কুকের স্বপ্নের একাদশে রয়েছেম মাত্র দু’জন ব্রিটিশ ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার চারজনকে তিনি পছন্দের দলে রেখেছেন।
গুচ ছাড়াও দলে অপর ব্রিটিশ ক্রিকেটার হলেন পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। হেডেন ছাড়া অপর তিনজন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার হলেন রিকি পন্টিং, শেন ওয়ার্ন ও গ্লেন ম্যাকগ্রা। দু’জন উইকেটকিপারের একজন হলেন কুমার সাঙ্গাকারা। অপরজন এবি ডি’ভিলিয়ার্স।
অলরাউন্ডারের ভূমিকায় রেখেছেন প্রোটিয়া তারকা জ্যাক কালিসকে। ওয়ার্নের সাথে দ্বিতীয় স্পিনার হলেন কিংবদন্তি মুথিয়া মুরালিধরন।
তিন নম্বরে ব্যাট করার জন্য ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের রাজপুত্র ব্রায়ান লারাকে বেছে নিয়েছেন কুক। যদিও মিডল অর্ডারে যেকোনো জায়গাতেই প্রত্যেকে ব্যাট করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কুক এটাও জানিয়েছেন, এই মিডল অর্ডারের ব্যাটিং দেখার জন্য যত খুশি টাকা খরচ করতে রাজি তিনি।
কুকের পছন্দের টেস্ট একাদশ : গ্রাহাম গুচ (অধিনায়ক), ম্যাথিউ হেডেন, ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং, এবি ডি’ভিলিয়ার্স (উইকেটকিপার), কুমার সাঙ্গাকারা (উইকেটকিপার), জ্যাক কালিস, মুথিয়া মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন, জেমস অ্যান্ডারসন ও গ্লেন ম্যাকগ্রা।
আরো পড়ুন : অবসর নিলেন ভারতের সাবেক পেসার
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকের ঠিক ১৩ বছর পর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের সাবেক পেসার আরপি সিং। টুইটারে ৩২ বছর বয়সী সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ের কথা জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘১৩ বছর আগে ২০০৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আমি প্রথমবারের মত ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলাম। সেটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত। আজ আমি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় জানাচ্ছি। আমার ইচ্ছা আমাকে যেন সবাই মনে রাখে। আমার এই পথচলায় যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
২০০৩-০৪ মৌসুমে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে সিংয়ের অভিষেক হয়েছিল। ওই সময় বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন বাঁ-হাতি এই পেসার। টুর্নামেন্টে তিনি সর্বমোট আট উইকেট দখল করেছিলেন। এর পরপরই উত্তর প্রদেশের হয়ে তিনি ঘরোয়া টুর্ণামেন্টে ৬ ম্যাচে ৩৪ উইকেট দখল করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আরপি সিংয়ের ওয়ানডে অভিষেক ঘটে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ওভারেই তিনি ২ উইকেট তুলে নেন। পরের বছরই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দলেও জায়গা করে নেন। ফয়সালাবাদ টেস্টেই তিনি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জয় করেছিলেন।
অবশ্য ২০০৭ সালে ইংল্যান্ড সফরে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেন। ২১ বছর বয়সে তিনি লর্ডসে ৫ উইকেট দখল করে ভারতের সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এরপরপরই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপের মাধ্যমে তার ছোট ফর্মেটেও আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। প্রথমবারের মত আয়োজিত ছোট ফর্মেটের বিশ্বকাপে ভারত শিরোপা জয় করেছিল।
আইপিএল’ও তার সূচনাটা বেশ ভালই হয়েছে। দ্বিতীয় মৌসুমে ডেকান চার্জার্সের হয়ে শিরোপা জয়ের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট দখল করেছিলেন।
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে আরপি সিং ৯৪ ম্যাচে ৩০.৫৭ গড়ে ৩০১টি উইকেট দখল করেছেন। ২০০৫ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সব ধরনের ফর্মেটে তিনি ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে সর্বমোট ৮২টি ম্যাচ খেলেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা