০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদ ছাত্রশিবিরের

-

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) অন্যায়ভাবে গুলি করে হাসান (২৬) নামে এক বাংলাদেশীকে হত্যা এবং একই দিন রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্তে বিল্লাল হোসেন (২৮) নামের আরেক বাংলাদেশীকে গুলি করার প্রতিবাদ ও অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, যখন তখন সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশীদের হত্যা করে চলেছে বিএসএফ। আর এ ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ অবৈধ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি। ২০১১ সালে কিশোরী ফেলানীকে খুনের পর কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখার নির্মম দৃশ্য বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়েছিল। ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ১৬ বছর বয়সী স্কুলছাত্র মিনহাজুল ইসলামকে হত্যার পর ৪৮ ঘণ্টারও বেশি লাশ আটকে রাখে বিএসএফ। এভাবে যখন তখন নির্বিচারে বাংলাদেশীদের হত্যা করছে বিএসএফ। এসব নির্মম ও অপমানজনক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ পরিসংখ্যানে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত সীমান্তে ১৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সীমান্তে এমন নির্বিচারে হত্যা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু ভারতের সদিচ্ছার অভাব ও বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশীরা হরহামেশায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের শিকার হচ্ছে। ২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এক হাজার ১৮৫ জন বাংলাদেশী বিএসএফের হাতে খুন হয়েছেন! আহত ও নির্যাতনের শিকার অসংখ্য বাংলাদেশী। ২০২২ সালের জুলাই মাসে বিএসএফ প্রধান পঙ্কজ কুমার সিং বাংলাদেশে বসে দাম্ভিকতার সাথে বলেছে ‘এ যাবৎকালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যারা নিহত হয়েছে, তারা সবাই অপরাধী।’ এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ করা হয়নি। অবৈধ সরকারের নীরবতাই সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে বিএসএফকে উৎসাহিত করছে। ফলে প্রতিনিয়তই বাংলাদেশ সীমান্তে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, অপহরণ ও চুরি, ডাকাতি, দখলের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে বিএসএফ। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে বাংলাদেশকে অবাধে ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছে অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী সরকার। আর ভারত বাংলাদেশকে নিরপরাধ নাগরিকের লাশ উপহার দিচ্ছে। দেশবাসী এ নতজানু নীতি পরিহার ও সীমান্ত হত্যা বন্ধ দেখতে চায়। অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

রাজধানীতে তৃষ্ণার্তদের মাঝে শিবিরের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ : রাজধানীতে চলমান তীব্র গরমে পিপাসার্ত মানুষের মাঝে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা। রাজধানীর পল্টন এলাকার শান্তিনগর থেকে কাকরাইল পর্যন্ত বিভিন্ন স্পটে গতকাল এসব সামগ্রী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী পল্টন দক্ষিণ থানা আমির শাহিন আহমেদ খাঁন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা সভাপতি তাকরীম হাসান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর সেক্রেটারি জাফর সাদিকসহ মহানগর ও থানার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় ছাত্রশিবির প্রতি বছর জুন-জুলাই তথা বর্ষার মৌসুমে কয়েক লাখ বৃক্ষরোপণ করে থাকে। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement