২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিমানের কানাডাগামী ফ্লাইটে যাত্রী বাড়ছে ফিরছে কম

-

ঢাকা-টরেন্টো-ঢাকা রুট অনেকটা লোকসান দিয়ে শুরু হলেও ধীরে ধীরে সেটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার মধ্যরাতে ঢাকা থেকে কানাডার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটে আশানুরূপ যাত্রী পাওয়া গেলেও ফিরতি ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম বলে বিমানের বলাকা ভবন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। টরেন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরতি ফ্লাইটটি আজ সোমবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
বলাকা ভবন সূত্র জানিয়েছে, গত শনিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে কানাডার পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে বিমানের অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি ২৮৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায়।
ক্যাপ্টেন মাহতাবের নেতৃত্বে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটটি প্রথমে তুরস্কের ইস্তান্বুল এয়ারপোর্টে অবতরণ করবে। সেখানে রিফুয়েলিং শেষে টানা সাড়ে ১১ ঘণ্টা উড়ে কানাডার পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফ্লাইটটি। সেখান থেকে ফিরতি ফ্লাইটটি গতকাল রোববার ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। আজ সোমবার রাত ১১টা নাগাদ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ফিরতি ফ্লাইটে গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত ৭১ জন যাত্রীর বুকিং ছিল বলে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটে ২৮৫ জন যাত্রীদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর ২৫ জন, বিজনেস ক্লাসের ২০ এবং বাকি ২৪০ জন ইকোনমি ক্লাসের ট্রাভেল করেন। এই ফ্লাইটে কার্গো পরিবহন করা হয় ১ হাজার ২৫০ কেজি। ফিরতি ফ্লাইটে কার্গো পরিবহন করার কথা জানা যায়নি।
গতকাল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নয়া দিগন্তকে জানান, এখন তো কানাডাগামী ফ্লাইটে ঢাকা থেকে আশানুরূপ যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে ভারত ও নেপালের যাত্রীরা আসায় এই রুটে যাত্রী বেশি হচ্ছে। তারা বলেন, শনিবার রাতে ঢাকা থেকে যে ফ্লাইটটি ছেড়ে গেছে সেখানে ২৮৫ জন যাত্রী ছিলেন। কিন্তু ফেরার ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যা বুকিং আছে মাত্র ৭১ জন। সেই হিসাবে বিমান কর্তৃপক্ষ কিন্তু এখনো এই ফ্লাইট অপারেশন করে লোকসানই দিচ্ছে। তবে শুনছি কানাডা রুটের ফ্লাইটে টিকিটের দাম বাড়িয়েছে বা বাড়ানোর চিন্তা করছে বিমান কর্তৃপক্ষ। তবে সেটি প্রতি টিকিটে কত টাকা বাড়বে তা কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।
গতকাল কানাডা ফ্লাইট অপারেশনের সর্বশেষ তথ্য জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: যাহিদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি টেলিফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ২৭ জুলাই স্বপ্নের ঢাকা-টরেন্টো-ঢাকা রুটের ফ্লাইট চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। কর্তৃপক্ষ এখনো এই রুটে সফল হওয়ার আশা করছে। ঢাকা থেকে যাওয়ার সময় সাড়ে ১৮ ঘণ্টা থেকে ১৯ ঘণ্টা সময় লাগছে। তবে ফেরার সময় সরাসরি আসার কারণে সময় লাগছে ১৬ ঘণ্টার মতো। আসা-যাওয়া মিলিয়ে মোট ৩৪ ঘণ্টার মতো সময় লাগছে।
এভিয়েশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি ঘণ্টায় জ্বালানি, পার্কিং, ফ্লাইংচার্জসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে সাড়ে ১৩ হাজার ইউএস ডলার খরচ হচ্ছে। সেই হিসাবে প্রতি ফ্লাইট পরিচালনায় পাঁচ কোটি টাকার মতো খরচ হচ্ছে। কিন্তু টিকিট বিক্রি বাবদ বিমানের আয় হচ্ছে তার অনেক কম।
বিমান এক্সপার্টরা মনে করছেন, এই রুটে যাত্রী সংখ্যা বাড়াতে হলে মার্কেটিং বিভাগকে আরো চাঙ্গা করতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা-কানাডা-ঢাকা ফ্লাইটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ টিকিটের মূল্য যা নির্ধারণ করেছে তার দ্বিগুণ দাম দিয়েও নাকি কখনো কখনো টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং করা উচিত বলে মনে করছেন এই রুটের যাত্রী ও এভিয়েশন সংশ্লিষ্টরা।


আরো সংবাদ



premium cement
দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

সকল