২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেয়র হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

-

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর ৬২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় আজিমপুর কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আজিমপুরের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ দিকে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পৃথক বাণী দিয়েছেন।
১৯৪৪ সালে ১ এপ্রিল পুরান ঢাকার আবদুল আজিজ ও মুন্নি বেগম দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পেয়ে এ সময় ছয় দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকার শেষ সরদার আলহাজ মাজেদ সরদারের মেয়ে ফাতেমা খাতুনকে বিয়ে করেন। তিনি এক ছেলে ও দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ হানিফ। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৪ সালে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন মোহাম্মদ হানিফ। ১৯৯৬ এর মার্চে স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে তারই নেতৃত্বে ‘জনতার মঞ্চ’ তৈরি হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে মারাত্মক আহত হন। ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ নভেম্বর ৬২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
রাষ্ট্রপতির বাণী : রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, মোহাম্মদ হানিফ তার কর্মের মাধ্যমে জনগণের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তিনি আরো বলেন, মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা। সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সফল।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে মোহাম্মদ হানিফ মানুষের হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বেঁচে থাকবেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করবে।
স্পিকারের বাণী : স্পিকার শিরীন শারমিন তার বাণীতে বলেন, মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান, বিচক্ষণ ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব। তিনি মানবকল্যাণমূলক চিন্তাধারা, পরিকল্পনা ও উদ্যোগ বাস্তবায়নে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন। মেয়র হিসেবে ঢাকাবাসীর জন্য নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে তার প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার। ঢাকার উন্নয়নে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ঢাকাবাসী আজো কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।


আরো সংবাদ



premium cement
মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২ দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ

সকল