১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


রোগীসহ ৩ জনকে অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

ঢাকা মেডিক্যালে অজ্ঞান পার্টির হানা
-

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খাবারের মধ্যে চেতনানাশক খাইয়ে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার রাতে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা হলেন রোগী মিতা আক্তার (২৫), তার ছোট বোন খুশি আক্তার (২০) ও আরেক রোগীর স্বজন শাহিনুর বেগম (৪০)। তাদের অভিযোগ ডিউটিরত আনসার সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে একের পর এক রোগীর স্বজনদের অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যাচ্ছে অজ্ঞান পার্টি সদস্যরা। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ আনসার সদস্যদের অবহেলার কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। হাসপাতালে এখন রোগী ও তাদের স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।
মিতা আক্তারের শ্বশুর আনোয়ার হোসেন জানান, গাইনি সমস্যার কারণে চার দিন আগে মিতাকে ঢাকা মেডিক্যালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তাকে দেখাশুনার জন্য তার ছোটবোন খুশিও সাথে থাকত। নিরাপত্তার স্বার্থে আনসার সদস্যরা রাতে রোগীর সাথে বাড়তি লোক থাকতে দেয় না। এ জন্য আনোয়ার হোসেন বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। মধ্যরাতে রোগীর খোঁজ নিতে বেডে গিয়ে দেখেন, মিতা ও তার ছোট বোন অচেতন হয়ে বেডে পড়ে আছে। ডাকাডাকি করেও তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদের চেতনানাশক কিছু খাওয়ানো হয়েছে বুঝতে পেরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে স্টোমাক ওয়াশ করানো হয়।
তিনি জানান, একই সময়ে ২১২ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় শাহিনুর নামে ওই নারীকেও জুস খাইয়ে তার কানের স্বর্ণের দুল নিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী মিতা বলেন, মধ্যবয়সী এক নারী দুইটা জুস ও কেক নিয়ে এসে তাদের বলে, বারান্দা থেকে তার শ্বশুর সেগুলো কিনে পাঠিয়েছেন, তাদের খেতে বলেছেন। তখন ওই নারী তাদের কাছে দাবি করেন, তিনিও রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। জুস ও কেক দিয়ে ওই নারী ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তারা দুইবোন সেগুলো খায়। কিছুক্ষণ পরই তারা অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর কী ঘটেছে তা কিছুই টের পায়নি। স্বজনরা দাবি করেন, মিতার বেডের পাশে রাখা ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। গতকালই মিতার বাবা চিকিৎসার জন্য ওই টাকা দিয়েছিলেন। আর খুশির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে গেছে। মানিকগঞ্জ শিবালয় উপজেলার চাইরপাড়া গ্রামের রিকশাচালক মামুনের স্ত্রী মিতা। শাহিনুরের বাড়ি দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার। তার স্বামীর নাম আবু বক্কর সিদ্দিক।
আনসার কমান্ডার শাহ আলম এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো: বাচ্চু মিয়া জানান, রাতে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ভেতর তাদের চেতনানাশক খাইয়ে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাদের স্টোমাক ওয়াশ করানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল