পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অফিসে ডিএসসিসির তালা

বেতনের দাবিতে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারীকে মারধরের অভিযোগে চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে কর্মচ্যুত ও দু’জনকে শোকজ করার পর পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংগঠন কার্যালয়ে তালা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গতকাল বেলা ১১টায় তাদের কার্যালয় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ডিএসসিসি।
জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারি বকেয়া বেতনের দাবিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগরভবনের ডিএসসিসির প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দফতরে দেখা করতে যান। এ সময় সেখানে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারী মো: আলী হোসেনের সাথে বাগি¦তণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। এ কারণে গত ২৪ জানুয়ারি তাদের মধ্যে চারজনকে কর্মচ্যুত করে ডিএসসিসি। এ ছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংগঠন স্ক্যাভেঞ্জার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি এম এ গণি ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। তবে ডিএসসিসির নোটিশে মো: আলী হোসেনকে মারধরের অভিযোগ আনা হয়। এ দিকে হামলার পরদিনই পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংগঠনের মেয়াদ শেষ হয়েছে জানিয়ে তাদেরকে কার্যালয় ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ডিএসসিসির সচিব মো: আকরামুজ্জামান। কিন্তু তারা চলে না যাওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার নগরভবনের চতুর্থতলায় থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংগঠনের কার্যালয় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ডিএসসিসি। বেলা ১১টার দিকে কার্যালয়ের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।
ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ নয়া দিগন্তকে বলেন, সাধারণত মাসের বেতন ৪-৫ তারিখে হয়। কিন্তু এ মাসে বেতন দিতে দেরি হওয়ায় গত ২০ জানুয়ারি আমাদের কর্মীরা হিসাব বিভাগে খোঁজ নিতে যান। সেখানে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারপরও চারজন কর্মীকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি সেখানে ছিলাম না, তারপরও আমি ও সভাপতিকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছে। আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা মেয়রের সাথে দেখা করার জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করছি। কিন্তু এখনো পারিনি। মেয়রের সাথে দেখা হলে আশা করছি বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে। আব্দুল লতিফ বলেন, ইউনিয়নের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করে মেয়রের কাছে লিখিতভাবে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মেয়র ফাইলটি সমাজসেবা বিভাগে পাঠিয়েছেন। আমরাই নির্বাচন চাচ্ছি, কিন্তু নির্বাচন না হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের কার্যালয়ের চাবি নিয়ে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারী মো: আলী হোসেন বলেন, সে দিন তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তাদেরকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে কি না আমি জানি না। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য সংস্থার সচিব আকরামুজ্জামানকে ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।