খুলনায় ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের ছাত্রীকে অপহরণের ১৫ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি থানা পুলিশ
- খুলনা ব্যুরো
- ২৭ নভেম্বর ২০২০, ০০:২৭
নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রী বর্ষাকে (১৫) তার ভগ্নিপতি অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানায় ভগ্নিপতিসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া আদালতে যৌতুকের মামলাও হয়েছে। মামলা দায়েরের আট দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ বর্ষাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
মামলা সূত্রানুযায়ী, খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমণি পূর্বপাড়ার কাজী দিদারুল আলম ওরফে বাপ্পির মেয়ে আফসানা মিমি বৃষ্টির (২০) সাথে ফুলতলা থানাধীন মো: রুহুল আমিনের ছেলে এএস আলফাজ আহম্মেদের চলতি বছর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আলফাজ ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করার কথা বললেও পরে জানা যায় সে ভবঘুরে বেকার এবং বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত । বিষয়টি জানতে পেরে আফসানা মিমি বৃষ্টিকে তার মা বাড়িতে নিয়ে আসেন। আলফাজ ফোনে তার স্ত্রী আফসানা মিমি বৃষ্টিকে না পাঠালে তার বোন ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজেপড়–য়া দশম শ্রেণীর ছাত্রী ফারহানা তামান্না বর্ষার ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে। পরে গত ১৪ নভেম্বর ফারহানা তামান্না বর্ষা কলেজে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সকাল ১০টার দিকে শিরোমণি পূর্বপাড়া তেতুলতলা থেকে আলফাজ তাকে অপহরণ করে সিএনজিতে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানায় ফারজানা তামান্না বর্ষার মা বাদি হয়ে জামাই দামোদর গ্রামের আলফাজ আহম্মেদ (৩০), তার ভাই মো: জুয়েল (৩৩), বাবা মো: রুহুল আমিন সরদার (৬২), বড় ভাইয়ের স্ত্রী মোসা: রহিমা বেগম (২৫) এবং যশোর সদর থানার মো: সোহাগ হোসেনকে (৩৭) অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১২, তাং ১৯/১১/২০)। পুলিশ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহৃত বর্ষাকে উদ্ধার করতে পারেনি বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।
অপহৃত স্কুলছাত্রী বর্ষাকে উদ্ধারের জন্য তার বাবা দিদারুল আলম র্যাব-৬ বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। এ ছাড়া অভিযুক্ত আলফাজের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী আফসানা মিমি বৃষ্টি বাদি হয়ে আদালতে যৌতুকের মামলা দায়ের করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা