বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণের নতুন দুয়ার খুলে দেবে দাবা

বাংলাদেশ বিশ্বের ইতিহাসে শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে না, এগিয়ে যাচ্ছে খেলাধুলার দিক দিয়েও। একটি মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গঠনে খেলার জগতে দাবা খেলা বর্তমান নেতৃত্বের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই এক অনন্য অধ্যায়ে পরিণত হয়েছে। জয়তু শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন চেস টুর্নামেন্ট ২০২০-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সাউথ এশিয়ান চেস কাউন্সিল ও বাংলাদেশ চেস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ।
গতকাল রোববার লা মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ চেস ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. চৌধুরী নাফিস শরাফতের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ চেস ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম।
অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান চেস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট শেখ সুলতান বিন খালিদ আল নাহিয়ান, সেক্রেটারি জেনারেল হিশাম আল তাহের, সাউথ এশিয়ান চেস ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি লাক্সমান ইজোসুরিয়া।
প্রধান অতিথি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে না, এগিয়ে যাচ্ছে সমন্বিত ও সার্বিকভাবে। খেলাধুলা এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা ইতোমধ্যেই বিশ্ব ক্রীড়া জগতে ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে পেরেছি। আমি খুব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ফেডারেশনের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদের মতো ডায়নামিক, গতিশীল ও ব্রিলিয়ান্ট নেতৃত্বে দাবা খেলা অনতিবিলম্বেই একটি জনপ্রিয় ও বিকশিত খেলায় পরিণত হবে। আইজিপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে, তিনি আরো আশ্বাস দেন যে, শিগগিরই দাবা ফেডারেশনের জন্য একটি স্থায়ী জায়গার বন্দোবস্ত করা হবে।
জয়তু শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন চেস টুর্নামেন্ট ২০২০-এ ৩৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। ইন্দোনেশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার মেগরানত সুশান্ত ওই টুর্নামেন্টে প্রথম স্থান অর্জন করেন। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ভারতের গ্র্যান্ডমাস্টার সুনীল নারায়ন। ইরানের মোহাম্মদ আমিন তাবাতামি ওই টুর্নামেন্টে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী ১৯ জনকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১৫ জন দাবা খেলোয়াড়কে আইজিপির পক্ষ থেকে বিশেষ প্রণোদনা ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ ও বিদেশ থেকে অনলাইনে সংযুক্ত অতিথি ও বক্তারা দাবা খেলা নিয়ে বাংলাদেশের এমন উৎসবমুখর আয়োজনের ভূয়ষী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন, খেলার জগতে বাংলাদেশের দাবা খেলোয়াড়রা শুধু দেশেই নয়, বিদেশ বিভূঁইয়েও যোগ্যতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখবেন।
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনের প্রাক্কালে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্র্যান্ডমাস্টারসহ দেশ-বিদেশের ৭৪ জন দাবা খেলোয়াড় নিয়ে আয়োজিত এই অনলাইন টুনামেন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও সুদীর্ঘ জীবন এবং দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্ব কামনা করে ওই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।