২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সংবাদ সম্মেলনে দাবি

প্রতারণার সালিশ করতে গিয়ে মিথ্যা মামলার শিকার ইউপি চেয়ারম্যান

-

প্রতারণায় অভিযুক্তদের সালিশ করতে গিয়ে নিজেই প্রতারণা মামলার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো: ইকবাল হোসেন। গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনাতনে সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল হোসেন এসব কথা বলেন। তার দাবি জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল একজন বিপথগামী নারীকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জিঞ্জিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন, রুহিতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী অব্দুল আলী, সাকতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন, বাছতা ইউপি চেয়ারম্যান আসগর আলী প্রমুখ।
তিনি জানান, সম্প্রতি মিরেরবাগের মাহমুদা নামের এক নারী স্থানীয় রাসেল, রমজান ও জয়নালকে ব্লাকমেইল করে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ছাড়াও আমার এলাকার আরো একজনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তার এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে কানাপট্টি এলাকার বাসিন্দারা তাকে ওই এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর তিনি মিরেরবাগে গিয়ে ভাড়া বাসায় উঠে সেখানকার মানুষদের সাথে প্রতারণা শুরু করেন। চেয়ারম্যান হিসেবে এসব বিষয়ে অনেকেই আমার কাছে বিচার দাবি করেন। পরে ওই নারীকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সোহেল ও সেলিমের প্ররোচনায় পড়ে এসব কাজ করছেন বলে স্বীকার করেন। এরপর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি জানান, এ ঘটনার কয়েক মাস পর তিনি জানতে পারেন ওই প্রতারক নারী তার বিরুদ্ধেই একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযোগ করেছেন তাকে নাকি অপহরণ করেছেন ইকবাল হোসেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। চেয়ারম্যান বলেন, একটি কুচক্রী মহল জনগণের কাছে আমাকে ছোট করতে এবং সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। এই মিথ্যা অপপ্রচার, মামলা ও হয়রানির সুষ্ঠু বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইকবাল হোসেন।
এ ব্যাপারে জানতে মাহমুদার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ও তিন পুলিশ সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তিনি অপহরণের পর গণধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় চেয়ারম্যান গ্রেফতার হন। বর্তমানে জামিনে বের হয়ে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। তাদের অব্যাহত হুমকিতে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement