২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্ত্রীসহ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডি গ্রেফতার

-

প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো: শহিদুল্লাহ ও তার স্ত্রী নিপা সুলতানাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত সোমবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। নিপা সুলতানা ওই প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক ছিলেন। ডিবি জানায়, গ্রাহকের শেয়ার কেনাবেচার ১০০ কোটি টাকা জমা ছিল ওই প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টে। সেই টাকা আত্মসাতের টার্গেট ছিল এমডি ও তার স্ত্রীর। ইতোমধ্যে তারা ১৮ কোটি টাকা তুলেও নিয়েছিল। বাকি টাকা উত্তোলনের আগেই ডিবির অভিযানে ধরা পড়ে।
গতকাল মঙ্গলবার ডিবি কার্যালয়ের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো: আবদুল বাতেন। এ সময় রমনা বিভাগের গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার এ এইচ এম আজিমুল হক, ডিএমপি জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার নাদিয়া আফরোজসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আবদুল বাতেন বলেন, এমডি শহিদুল্লাহ ও তার স্ত্রী গত মাসের ২২ তারিখ থেকে তাদের ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ স্টক ব্রোকারেজ হাউজটি বন্ধ করে চলে যায়। অথচ ওই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২২ হাজার বিও অ্যাকাউন্টধারীর শেয়ারবাজারে শেয়ার কেনাবেচার ১০০ কোটি টাকা ছিল। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে এমডি শহিদুল্লাহ গত ২২ তারিখে ১৮ কোটি টাকা তার নিজের অ্যাকাউন্টে শিফট করেন। বিষয়টি টের পেয়ে বিনিয়োগকারীরা ক্রেস্ট অফিসে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তখন দেখেন অফিস তালা দেয়া। এমডি ও শহিদুল্লাহ, তার স্ত্রী ও ভাই পালিয়ে গেছেন। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ক্রেস্টের বিনিয়োগকারীরা। তারা প্রতিষ্ঠানটির বাইরে বিক্ষোভ করেন। ২৪ জুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) দুই প্রতিনিধিসহ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ ছাড়া হাউজটির মালিকরা যেন বিদেশে যেতে না পারে, সে জন্য ডিএসই থেকে পল্টন থানায় অভিযোগ করা হয়। একই সাথে মালিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল্লাহর বরাত দিয়ে আবদুল বাতেন জানান, আত্মসাতের জন্যই টাকা তুলে পালিয়েছিলেন শহিদুল্লাহ। নিয়ম অনুযায়ী তারা শুধুমাত্র এই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্ট খুলে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন। তবে তারা প্রায় ৬০০ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর নিয়ে ডিডের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা নিয়ে তাদের মাসে মাসে লভ্যাংশ দিচ্ছেন, যেটা আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই টাকাটা মেরে দেয়ার জন্যই তিনি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে চলে যান। জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল্লাহ ২২ হাজার বিও অ্যাকাউন্টধারীদের প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ও তার মধ্যে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানায় ডিবি। এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট খালেদা জিয়ার সাথে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা আটক জীবন্ত মানুষকে গণকবর আগ্রাসন ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃষ্টির জন্য সারা দেশে ইসতিস্কার নামাজ আদায় আরো ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট তাপপ্রবাহ মে পর্যন্ত গড়াবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ গ্যাসের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন শিল্পে ঋণ বিতরণ করা যাবে না

সকল