২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সাক্ষাৎকারে শাহ মো: খসরুজ্জামান

কিছু বিশেষ সুবিধা দিয়ে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ মুদ্রাবাজারে আনা সম্ভব

-

বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে। দীর্ঘ লকডাউনে বাংলাদেশসহ বিশ্বে খাদ্যসঙ্কটসহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। দেশ যাতে অর্থনৈতিক সঙ্কটে না পড়ে এবং জিডিপির হার যাতে কমে না যায়, সেজন্য সরকারকে কতকগুলো পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের অর্থনীতিকে ধরে রাখার জন্য নতুন বাজেটে কতগুলো অর্থনৈতিক পন্থা বা পদক্ষেপ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মো: খসরুজ্জামান।
নয়া দিগন্তকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহ মো: খসরুজ্জামান বলেন, আগামী বাজেটে বিশেষ কিছু সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বিদেশে পাচারকৃত ও দেশের লুকিয়ে রাখা অর্থ মুদ্রা বাজারে আনার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। এসব অর্থ দেশের অর্থনীতিতে যোগ হলে তা বর্তমান সঙ্কট উত্তরণে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, দেশের মোট অর্থ সম্পদের আশি ভাগ মাত্র ২ ভাগ ব্যক্তির কাছে আছে। যার কিছু অংশ মুদ্রাবাজারে সচল আছে। আর বাকি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে এবং হচ্ছে। এ ছাড়া জমি ক্রয়ের মাধ্যমে কিছু অর্থ লুকানো হয়েছে। এসব অর্থ মুদ্রা বাজারে আনার সুযোগ সৃষ্টি করতে কিছু বিশেষ সুবিধা প্রদান করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রচার অভিযানে নামতে হবে।
শাহ মো: খসরুজ্জামান বলেন, সেকশন ১৯ ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪ এর আওতায় কিছু সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে। এগুলো হলোÑ ১. যেসব জমি করের আওতায় আসেনি, সেসব জমি ক্রেতারা তথ্য গোপন করেছেন। উক্ত জমির দলিল মূল্যের ৫ শতাংশ অগ্রিম কর প্রদান করলে কর বিভাগ বিনা ব্যাখ্যায় মেনে নেবে। এসব জমি করের আওতায় এলে সেখানে শিল্প কারখানা, বাজার, আবাসিক ভবন গড়ে উঠবে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে ও দেশের বেকার সমস্যা দূর হবে।
২. নতুন অর্থবছরে কেউ শিল্প স্থাপন করলে সেখানে বিনিয়োগকৃত অর্থ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিনা ব্যাখ্যায় মেনে নেবে। এই সুবিধা ইকোনমিক জোনে প্রতিষ্ঠিত শিল্পের জন্য বলবৎ থাকলেও বিদেশে অর্থ পাচারকারীরা আকৃষ্ট হননি। সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে দেশের যেকোনো স্থানে শিল্প প্রতিষ্ঠা করার জন্য সুযোগ উন্মুক্ত করলে দ্রুত গতিতে দেশে শিল্পায়িত হবে।
৩. নতুন শিল্পকে আধুনিকায়ন এবং কৃষি ও পশুপালনভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগকৃত অর্থ বোর্ড বিনা ব্যাখ্যায় মেনে নেবে।
৪. শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের স্টক ও শেয়ার কিনলে ৫ বা ৭ শতাংশ কর প্রদান করলে উক্ত বিনিয়োগ বিনা ব্যাখ্যায় গ্রহণ করবে এনবিআর।
৫. বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করলে এই বিনিয়োগ মেনে নেয়ার বর্তমান আইনটিতে (সেকশন-১৯-বি-বি) করের হার অনেক বেশি। এটা অপেক্ষাকৃত কম করলে করদাতাগণ আকৃষ্ট হবেন।


আরো সংবাদ



premium cement