২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি হাজারো মানুষের

মাওয়া ঘাটে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়
-

সারা দেশে করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় চলছে সতর্কতা। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে জমায়েত ও সব ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘোষণা করা হয়েছে কয়েক দিনের সাধারণ ছুটি। এই লম্বা ছুটিতে রাজধানী ও বিভিন্ন শহরের মানুষের বাড়ি যাওয়া ঠেকাতে বন্ধ করা হয়েছে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল। কিন্তু এর মধ্যেও মানুষ নানা উপায়ে ছুটছেন গ্রামের বাড়ির দিকে। গতকাল মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা চরম আকার ধারণ করে।
লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকলেও ফেরিগুলোতে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ঘাটে আসছে পদ্মা পাড়ি দিতে। ট্রলারগুলো ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রীসহ ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দিচ্ছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নৌযানগুলো যাত্রী পার করতে হিমশিম খাচ্ছে।
শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহম্মেদ জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। কিন্তু ঢাকা থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়ছে শিমুলিয়া ঘাটে। ফেরিগুলোতে যাত্রী ও ছোট ছোট গাড়ি পার করতে হচ্ছে। ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কেউ বিধিনিষেধ মানছেন না, ফেরিগুলোতে গাদাগাদি করেই সবাই পদ্মা পার হচ্ছেন।
ফেরিতে জায়গা না পেয়ে অনেকেই ট্রলার ও স্পিডবোট ভাড়া করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। ঘাট এলাকায় বর্তমানে আট শতাধিক ছোট গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় আছে। ফেরিতে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি গাড়িগুলোও পার করা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার ও গতকাল এ দুই দিন মানুষের এতটা চাপ ছিল যা দুই ঈদের সময়ও হয় না। করোনাভাইরাস আতঙ্ক যেন এই বাঁধ ভাঙা যাত্রীদের কাছে তুচ্ছ হয়ে গেছে। বাড়িতে তাদের যেতেই হবে। ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কাকেও তারা পরোয়া করছেন না। এমনটিই মনে করছেন মাওয়া ঘাটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।

 


আরো সংবাদ



premium cement