১৬ মে ২০২৪, ০২ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫
`


ঝুঁকিপূর্ণ ১৮ কেন্দ্র দুই সিটিতে

-

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৮টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো: আলমগীর। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০ হাজার সদস্য মাঠে থাকবে। সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যাব, বিজিবি থাকবে। কেন্দ্রে সংখ্যা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৮টি কেন্দ্র শুধু ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের কাছে এ ধরনের রিপোর্ট নেই যে এখানে খারাপ কিছু হতে পারে। একই সাথে ভবিষ্যতে এমন কিছু হতে পারে তার রিপোর্টও তাদের কাছে নেই। সব সময়ই তারা সতর্ক আছেন, কোনো সমস্যা থাকলে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
সচিব বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধান এবং প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ভোট কিভাবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে সেটি কমিশনের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে। তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর দায়িত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তারা বলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করণীয় সে ব্যাপারে তারা সচেতন আছেন। এ ব্যাপারে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তারা আমাদের সবগুলো প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। তবে ভোটারদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে চলাচলের বিষয়ে যে প্রস্তাব ছিল সেটির বিষয়ে তারা বলেছে ঢাকায় দুই থেকে তিন লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে বিধায় তারা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। ফলে যারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন তাদের সমস্যা হবে এবং যারা বিভিন্ন স্থান থেকে চলাচল করবে তাদেরও সমস্যা হবে। এটিতে তারা দ্বিমত পোষণ করেছেন। কমিশন সেটা মেনে নিয়েছে।
আলমগীর বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। এ ক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৫ নম্বর নিয়ে ভোটের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা হয়তো শতভাগ করতে পারিনি, উত্তরে যে অভিযোগটি এসেছে সেটার ক্ষেত্রেও সাথে সাথে নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে এবং তিনি সাথে সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর একটিও না ঘটে। নির্বাচনের দুই দিন আগে আরো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এখন পরিস্থিতি যা আছে তা তো থাকবেই আশা করি আরো ভালো হবে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও সে সময় মাঠে থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement