০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রূপগঞ্জে অভিনব জালিয়াতির মাধ্যমে জমি বিক্রির অভিযোগ

-

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অভিনব জালিয়াতির মাধ্যমে একজনের জমি আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে প্রতারকচক্র। দলিল লেখকসহ রেজিস্ট্রি অফিসের কার্মকর্তারা এ চক্রের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী জমির মালিক প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জামিনে বেরিয়ে এসেছে তারা। বাকিরাও জামিনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
ভুক্তভোগী ও মামলার বিবরণে জানা যায়, মো: বেল্লাল হোসেন ভূঁইয়া ২০০৯ সালে মো: আফজাল হোসেন গংদের পক্ষে নিযুক্তীয় আমমোক্তার নাছরিনের কাছ থেকে রূপগঞ্জের জাঙ্গীর মৌজায় ৬৯.৫০ শতাংশ জমি ৩১ লাখ ৫৩ হাজার টাকায় ক্রয় করে নিজের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের নামে রেজিস্ট্রিকৃত বায়না দলিল (নম্বর ১২৬০৭/৯) সম্পন্ন করেন। পৃথক দলিলে শুকুর মোহাম্মদ ও মো: নাসির উদ্দীন ভূঁইয়ার পক্ষে নিযুক্ত আমমোক্তার নাছরিন ও মো: শাহনেওয়াজের কাছ থেকে ভিংরাব মৌজায় ৫৫ শতাংশ জমি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যে ফরিদা ইয়াসমিনের নামে রেজিস্ট্রিকৃত বায়না দলিল (নং ১৩৯১৫/৯) সম্পন্ন করেন। জমির দুই মধ্যস্থতাকারী মো: শাখাওয়াত হোসেন ও দলিল লেখক মো: নজরুল ইসলামের মাধ্যমে তিন কিস্তিতে জমির পুরো টাকা বুঝে নিয়েও ফরিদা ইয়াসমিনের নামে সাফ কবলা রেজিস্ট্রি দিতে গড়িমশি করে তারা। নানাভাবে হয়রানির পর রেজিস্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উল্লেখিত চক্র অন্য কোনো মহিলাকে ফরিদা ইয়াসমিন সাজিয়ে সম্পাদিত বায়না রেজিস্ট্রি দু’টি রহিত করে নাছরিন ও মো: শাহনেওয়াজকে পুনরায় ভুয়া আমমোক্তার নিযুক্ত করে ফরিদা ইয়াসমিনের নামে বায়নাকৃত জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এতে মোজাম্মেল হক নামে একজনকে শনাক্তকারী হিসেবে জাল স্বাক্ষরও দেয়া হয়, যা তিনি এফিডেভিটের মাধ্যমে আদালতকে জানিয়েছেন। প্রতারণার এমন বিষয়টি জানতে পেরে বেল্লাল হোসেন ভূঁইয়া এবং তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন অভিযুক্তদের কাছে বায়নার টাকা ফেরত চাইলে তারা নানা ধরনের হুমকি দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে গত ২৯ আগস্ট ১৪ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয় (নং-৯০)। এ মামলায় বাবুল ও শাহনেয়াজকে গ্রেফতার করা হলেও তারা জামিনে বেরিয়ে আসে। বাকিরাও জামিন শুনানির অপেক্ষায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার ১৪ নম্বর আসামি ও দলিল লেখক মো: নজরুল ইসলাম প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘জমিটি নিয়ে আমাদের মধ্যে একটু সমস্যা হয়েছে। এখন সমঝোতার চেষ্টা চলছে। আমরা আশা করি মিটমাট হয়ে যাবে।’


আরো সংবাদ



premium cement
পাঁচ বছর পর ইউরোপ সফরে শি জিনপিং যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২ ইউক্রেনে ইস্টার প্রার্থনার মাঝে ড্রোন হামলা, রণাঙ্গনে রাশিয়ার সাফল্য দাবি যে সব কারণে করের বোঝা বাড়তে পারে আগামী বাজেটে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ‘জেনোফোবিক’ বক্তব্য নিয়ে ভারত-জাপানের আপত্তি আ’লীগ নেতাকে কটুক্তি, ছাত্রলীগ সভাপতিকে শোকজ ইসরাইলের হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা, গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ সোনা পাচার, ‘অপমানিত’ হয়ে পদত্যাগ আফগান কূটনীতিকের নেপালের নোটে মানচিত্র, ভারতের তীব্র আপত্তি ইনসুলিন দিয়ে ১৭ রোগী হত্যা, মার্কিন নার্সের ৭৬০ বছর কারাদণ্ড গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন

সকল