মেয়াদের শেষ মুহূর্তে এসে দেশের মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরকার সমর্থক বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সাথে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভায় মিলিত হন। এ সভায় সরকার সমর্থক শিক্ষক নেতারা সরকারের মেয়াদের অন্তীম মুহূর্তে এ ধরনের সভা আহ্বানে তাদের ক্ষোভ ও হতাশার কথা ব্যক্ত করে বলেন, শিক্ষক নেতাদের সাথে এ ধরনের বৈঠক আরো আগে আহ্বান করা উচিত ছিল।
তারা বলেন, শিক্ষা খাতে সরকারের অর্জন অনেক হলেও, এ সফলতার সাথে শিক্ষক নেতাদের কোনো ধরনের সহায়তা চাওয়া হয়নি। এখনো শিক্ষকদের অনেক দাবি অপূর্ণ রয়ে গেছে। শিক্ষক নেতারা এ সব দাবি আসন্ন নির্বাচনের আগেই পূরণের দাবি করে বলেন, অন্যথায় সরকারের প্রতি এবং নির্বাচনে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরকার সমর্থক বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বলেন, নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তি করা না হলে সারা দেশে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। সরকার মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার সুফল পেতে হলে এমপিভুক্ত শিক্ষকদের ৫% ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা ও পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা অবিলম্বে প্রদানের ঘোষণা দিতে হবে। এ দাবিগুলো শিক্ষকদের কাছে অত্যন্ত যৌক্তিক ও জনসম্পৃক্ত দাবি। এ দাবিপূরণে কোনো বিলম্ব করা সমীচীন হবে না।
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভায় শিক্ষকদের বিভিন্ন বক্তব্য শুনেন এবং তাদের দাবিগুলোর ব্যাপারে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন ও তুলে ধরেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এবার নতুন প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে ‘নন-এমপিও’ প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। স্কুল-কলেজ-মাদরাসা-কারিগরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৯ হাজার ৪৯৮টি আবেদন অনলাইনে জমা পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যাচাই-বাছাই চলছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাঠপর্যায়ে সরেজমিনে যাচাই-বাছাই চলবে। যাচাই-বাছাই করে এমপিও-ভুক্ত করা হবে।’ এ প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শিক্ষক নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ কলেজশিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: আসাদুল হক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভপতি মো: আজিজুল ইসলাম ও আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকি, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজশিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: শাহজাহান আলম সাজু, স্বাধীনতা মাদরাসাশিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মো: শাহজাহান খান এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজীসহ শিক্ষক-কর্মচারী সব সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা