আল্লাহ যেভাবে চান এবার সেভাবে রোজা রাখছি : মাহি
- আলমগীর কবির
- ১৩ মে ২০২০, ২২:৫২, আপডেট: ১৩ মে ২০২০, ২৩:১৮
প্রায় দুই মাস ধরে ঘরবন্দি মাহিয়া মাহি। শুরুর দিকে এ অবস্থা নিয়ে বিরক্তি থাকলেও এখন বেশ খুশি তিনি। অভিনেত্রী বলেন, অনেক বছর ধরেই আমি রোজা রাখি। কিন্তু এবারের রোজা আমার কাছে অন্য রকম। কারণ আমার মনে হয়, আল্লাহ যেভাবে চান এবার সেভাবে রোজা পালন করতে পারছি। এর আগে রোজায় শুটিং থাকত, নামাজ পড়া হতো না। শুটিংয়ে যাচ্ছি, যে কোনো রকমের ড্রেস পরছি, মেকআপ করছি, যদিও রোজা রাখতাম। কিন্তু রোজা পারফেক্ট হতো না। এবার বাসায় আছি। নামাজ পড়ছি ঠিকমতো, কোরআন শরিফ পড়া হয়। ঠিক করেছি মিথ্যা বলব না, কারো নামে দুর্নাম করব না। অর্থাৎ পারফেক্ট রোজা রাখার চেষ্টা করছি।
২০১০ সালে ভালোবাসার রঙ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়া এই অভিনেত্রী বলেন, লকডাউনের আগে মনে হতো জীবন এ রকম কেন, ভালো লাগে না। কিন্তু এখন মনে হয় ওই সময় তো আমরা ভালোই ছিলাম। অর্থাৎ আমরা সব সময় হা-হুতাশ করি। তা না করে যখন যে সময় থাকে সে সময়কে উপভোগ করা উচিত। কারণ আগামীকাল কী আসবে তা আমরা জানি না। করোনায় লকডাউনের আগের দিনও তো ভাবতে পারিনি পরদিন থেকে ঘরে থাকবো। আমরা যে অবস্থায়ই থাকি না কেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা উচিত। আমরা পরিবারকে বাদ দিয়ে বাইরের জগৎ নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। বন্ধুর জন্য ডাক্তারের কাছে ছুটছিলাম কিন্তু বাসায় মায়ের খোঁজ নিচ্ছিলাম না। করোনার সময় পারিবারিক বন্ধন ঝালাই হচ্ছে। আমার খুব ভালো যাচ্ছে। এছাড়া সবার সাথে যোগাযোগ বাড়ছে।
তবে সরকার কর্তৃক লকডাউন শিথিল করার ঘোষণায় তিনি কিছুটা আতঙ্কিত। এই অবস্থায় নিজের দায়িত্বে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মাহি। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের বড় সিদ্ধান্তগুলোর ব্যপারে আমাদের কিছু করার নাই, তবে আল্লাহকে ডাকার সুযোগ আছে। ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করে কী হবে। কোনো মহামারী বেশি দিন টিকে না। এসে চলে যায়। আল্লাহ আমাদের বাঁচাতে পারেন। যাদের মৃত্যুর ভয় আছে, যারা মনে করেন আমি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাব, আমার পরিবার আমার দ্বারা আক্রান্ত হবে, তারা বাইরে বের হবে না। যাদের এই ভয়টা নেই তারা বাইরে বের হবেই। তাদের বাসায় শাহরুখ খান, সালমান খান, শাকিব খান তিনজন একসাথে গিয়েও থাকতে বললে থাকবে না। আমি চাই মৃত্যুটা যাতে শান্তিতে হয়। জানাজায় যেন হাজার লোক হয়। এমন মৃত্যু সুখকর না যেখানে কিছু লোক গিয়ে ফেলে দিয়ে আসবে, জানাজা হবে না, আত্মীয়-স্বজন জড়িয়ে ধরে কাঁদতে পারবে না। এমন মৃত্যু যেন না হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা