বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গর্ব দুই বোন ববিতা ও চম্পা একসঙ্গে একই দিনে একইমঞ্চে ভারত থেকে সম্মাননা পেলেন। গত ২ জুন সন্ধ্যায় কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরের নজরুল মঞ্চে ববিতা ও চম্পা এই সম্মাননা গ্রহণ করেন। দুই বাংলার চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ববিতার হাতে তুলে দেয়া হয় ‘আজীবন সম্মাননা’ এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য চম্পার হাতে তুলে দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা। কলকাতার ‘টেলি সিনে এ্যাওয়ার্ড’র ১৭ তম আসরে ববিতার হাতে আজীবন সম্মাননা এবং চম্পার হাতে বিশেষ সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক, উদ্যোক্তা ‘টেলি সিনে এ্যাওয়ার্ড’র সেক্রেটারী মৃন্ময় কাঞ্জিলাল’র সার্বিক তত্বাবধানে ববিতা ও চম্পার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক এই আজীবন সম্মাননা’ পেয়ে মঞ্চে অনেকটাই আবেগাপ্লুত ছিলেন ববিতা।
সম্মাননা প্রাপ্তির পর নজরুল মঞ্চের হাজার হাজার দর্শকের সামনে ববিতা বলেন,‘ আমার আজকের এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। আমি সবসময়ই গর্ববোধ করি একজন বাংলাদেশী হিসেবে। বহুদনি পরে হলেও কলকাতায় এমন সম্মাননায় ভূষিত হয়ে আমি সত্যিই ভীষণ আনন্দিত, আবেগাপ্লুত। আমার বাংলাদেশের দর্শকের জন্য এই সম্মাননা উৎসর্গ করছি। কারণ তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায় আমি আজকের ববিতা। ভীষণভাবে আজ মনে পড়ছে সত্যজিৎ রায়ের কথা। কারণ তার নির্মিত চলচ্চিত্র অশনি সংকেত-এ অভিনয় করেই আমি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ পরিচিতি লাভ করি। সেইসব ফেলে আসা দিনের স্মৃতি আর আজকের সম্মাননা যেন আমার ফেলে আসা সময়ের মধ্যে এক অন্যরকম সেতুবন্ধন তৈরী করেছে। আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাই টেলি-সিনে এ্যাওয়ার্ড’র সংশ্লিষ্ট সবাইকে।’ চম্পা বলেন,‘ আজকের এই দিন সত্যিই জীবনের স্মরনীয় এক দিন। কারণ একইসঙ্গে একই মঞ্চে আমরা দুই বোন সম্মানিত হলাম। আয়োজকদের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। আমার চলচ্চিত্র পরিবার’সহ আমার অগণিত ভক্ত দর্শকের প্রতি সবসময়ই অপরিসীম ভালোবাসা। দোয়া চাই সবার কাছে যেন সুস্থ থাকি, ভালো থাকি।’
উল্লেখ্য আজ থেকে ৪৫ বছর আগে সত্যজিৎ রায়ের নির্দেশনায় ‘অশনি সংকেত’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ববিতা আপাতত নতুন কোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন না। চম্পা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘ইন্সপেক্টর নটিকে’।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা