০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রামগঞ্জে ঘন ঘন লোডশেডিং ও বাড়তি বিলের ভোগান্তি

রামগঞ্জে ঘন ঘন লোডশেডিং ও বাড়তি বিলের ভোগান্তি - ছবি : সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ঘন ঘন লোডশেডিং ও বাড়তি বিলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে বৃষ্টি না থাকায় ভ্যাপসা গরমে সাধারণ মানুষ মারাত্মক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।

স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, সারাদিনে অন্তত আট থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এতে গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রামগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতাধীন ১ লাখ ৮ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং। মারাত্মক লোডশেডিংয়ের ভেতরেও বাড়তি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন লক্ষাধিক গ্রাহক।

গ্রাহকদের দাবি, জোনাল অফিস ভৌতিক বা অনুমাননির্ভর বিল তৈরি করে প্রতিমাসে গ্রাহকদের হয়রানি করছে। দূর-দূরান্তের গ্রাহকরা রামগঞ্জ উপজেলার শহরের অফিসে এসে বিল ঠিক করতে হচ্ছে।

গত মে মাস থেকে লোডশেডিং মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিলে দু’ থেকে তিন ঘণ্টা চলে লোডশেডিং। গ্রামের বিদ্যুতের লোডশেডিং আরো ভয়াবহ বলে জানান বেশ কয়েকজন গ্রাহক।

রামগঞ্জ শহরের কনফেকশনারী ব্যবসায়ী মো: সজিব জানান, মার্চ মাসের বিল ছিল ২ হাজার ৭০০ টাকা, এপ্রিল মাসে ২ হাজার ৭৩৬ টাকা, কিন্তু মে মাসের বিল এসেছে ৫ হাজার ৯৯২ টাকা। বিদ্যুৎ অফিসে বসে ও বাড়ি-ঘরের মিটার ঠিকমতো রিডিং না করেই অনুমাননির্ভর অস্বাভাবিক অঙ্কের বিল তৈরি করে গ্রাহকদের হয়রানি করছে তারা।

বাজারের মোবাইলফোন ব্যবসায়ী হানিফ মোল্লাও জানালেন একই কথা। তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুৎ বিল ছিলো তিন হাজার ৪০৭ টাকা, মার্চ মাসে তিন হাজার ৭৩৮ টাকা, এপ্রিলে চার হাজার ৫১ টাকা আর মে মাসে এক লাফে ৬ হাজার ৮৭০ টাকা। এটা কিভাবে সম্ভব!

ছেরাজুল হক, মায়া বেগম, মিনু বেগম, জাকির হোসেন, মাহমুদ ফারুক, মোবারকসহ অর্ধশতাধিক গ্রাহকদের সাথে আলাপকালে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা বলেন,‘হঠাৎ করে গত দুই মাস ধরে অস্বাভাবিক অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা, অন্যদিকে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক বিল। এ যেন ‘মরার উপর (খাড়ার গা) মাঁধার গাছ’। সংযোগ বিচ্ছিন্নের ভয়ে বাধ্য হয়ে তারা ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র বিক্রি করে বিল পরিশোধ করেছি।

ইছাপুরের বিদ্যুৎ গ্রাহক সিদ্দিক মিয়া, জহিরুল ইসলাম, মৌসুমী বেগম ও লুবনা বেগম বলেন, শুক্রবার রাত ১১টায় বিদ্যুৎ গেছে আজ শনিবার সকাল ৯টায় আধা ঘণ্টা দিয়ে আবার লোডশেডিং। ঝড়-বৃষ্টি না থাকলেও প্রতিদিন অন্তত ১৫ থেকে ১৬ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ না করায় জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে।

রামগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো: নুরুল আলম ভূইয়া জানান, আমরা বিদ্যুৎ যতটুকু পাচ্ছি তাহা সরবরাহ করি। এরপরও লোডশেডিং করতে হচ্ছে। মে মাসের বিলটি ছিল গত রমজানের। রোজার সময় লোডশেডিং না দেয়ায় বিল বেশি আসছে। সামনের মাস থেকে অতিরিক্ত বিল আসবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অফিস ও ব্যক্তির কাছে বিগত দিন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাওনা প্রায় ৮ কোটি টাকা। ব্যপক প্রচার-প্রচারণা করেও টাকা উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না।

তবে ৮ কোটি টাকা কার কার কাছে পাওনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো উত্তর দিতে সম্মত হননি।


আরো সংবাদ



premium cement
কুয়াকাটা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১১, আটক ২ মে মাসে ১৩টি বজ্রঝড়ের আভাস চীন যেভাবে মেক্সিকোকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্য প্রবেশ করাচ্ছে মুলাদীর মেঠোপথে শোভা ছড়ানো সোনাইল আজ বিলুপ্তির পথে জয়পুরহাটে ট্রাক্টর-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ পাঁচ বছর পর ইউরোপ সফরে শি জিনপিং যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২ ইউক্রেনে ইস্টার প্রার্থনার মাঝে ড্রোন হামলা, রণাঙ্গনে রাশিয়ার সাফল্য দাবি যে সব কারণে করের বোঝা বাড়তে পারে আগামী বাজেটে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ‘জেনোফোবিক’ বক্তব্য নিয়ে ভারত-জাপানের আপত্তি আ’লীগ নেতাকে কটূক্তি, ছাত্রলীগ সভাপতিকে শোকজ

সকল