কোম্পানীগঞ্জ আ’লীগ সভাপতির ওপর ফের মির্জা অনুসারীদের হামলা
- মুহাম্মদ হানিফ ভূঁইয়া, নোয়াখালী অফিস
- ০৬ মে ২০২১, ২৩:০৫
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের (৭১), ওপর ফের হামলা চালিয়েছে বসুরহাট পৌর মেয়র, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বদু কেরানীর পোল সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনার পর খিজির হায়াত খানের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খিজির হায়াত খান অভিযোগ করেন, রাত ৮টার দিকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যোগে বাড়ি থেকে বসুরহাট বাজারে আসার পথে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বদু কেরানীর পোল এলাকায় পৌঁছালে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: রাসেল ও একই ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি আইনাল মারুফের নেতৃত্বে আট থেকে ১০ জন আমার রিকশার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আমি এখন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছি। এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার অনুসারী পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: রাসেলের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, এ বিষয়ে খিজির হায়াত খান মৌখিকভাবে তার ওপর হামলা বিষয়ে আমাকে অবহিত করেছেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলায় মির্জা অনুসারী কয়েকজনকে আসামি করাকে কেন্দ্র করে রাসেল কাউন্সিলর ও ছাত্রলীগ নেতা মারুফের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনানুগ প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৮ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে বসুরহাটের রূপালী চত্বরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তখন তিনি এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করতে চাইলেও কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করায় মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে এ ঘটনায় তিনি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।