২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নোয়াখালীতে মিজান বাহিনীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

নোয়াখালীতে মিজান বাহিনীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী - প্রতীকী

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দুর্ধর্ষ ক্যাডার মিজান বাহিনীর তাণ্ডবে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রশাসন তার বিরদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মিজান ও তার বাহিনীর সদস্যরা। প্রভাবশালী দলের ছত্রছায়ায় এলাকায় এাসের রাজত্ব কায়েম করলেও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে টু-শব্দ কারার সাহস নেই কারো।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এক সময়ের সিএনজি চালক থেকে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় মিজানুর রহমান দুর্ধর্ষ ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের রাস্তার মাথা নামকস্থানে মিজানের একটি নিজস্ব বাহিনী গড়ে উঠেছে। মিজান বাহিনী এলাকায় খুন, ধর্ষণ, মাদক কারবারি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সম্পত্তি দখলসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে কোম্পানীগঞ্জ থানায়।

মিজানুর রহমান (৫০), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত তোফাজ্জল আলমের ছেলে। গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পেশকারহাট এলাকার রাস্তার মাথায় হামলা করে মিজান বাহিনী এতে ১০ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ছয়জনকে বসুরহাট পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক জয় মিজানকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. হানিফ সবুজ জানান, ‘মিজান বাহিনী হামলা করে ২০১৪ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা গোলাম মাওলা সারেংকে পিটিয়ে হত্যা করে। মিজান ও তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু ওই মামলার প্রধান ও দুই নম্বর আসামি। ওই মামলায় দীর্ঘ দিন জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয়ে আমাদের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতেছে। এছাড়াও মিজান এলাকার আহসান উল্যাহ, আলা উদ্দিন নেতা, পারভেজ, হানিফ মিয়া, কাশেম মেম্বারসহ এলাকার অনেকে তার অত্যাচারের শিকার।’

ওই ঘটনায় মিজান বাহিনীর কোনো ক্ষতি না হলেও তার স্ত্রী রাহেনা আক্তার হামলার শিকার ১০ জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কাশেম জানান, মিজান বাহিনীর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। মিজান তার বাড়ির জাহানারা বেগমকে ত্রাণ ও শাড়ি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষিতা বিষয়টি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে জানান।

এ ব্যাপারে মিজানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার প্রতিপক্ষ আমাকে গায়েল করার জন্য মিথ্যা অপপ্রচার করছে।

কোম্পানীগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ

সকল