সোমবার সারা দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চন্দনাইশে ঢলের পানি কিছুটা কমলেও এখনো ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে শঙ্খ নদীর বিপদসীমার উপর দিয়ে ঢলের পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
অপরদিকে কয়েক দিনের টানা বর্ষণ পাহাড়ী ঢলের কারণে ৫ দিনের মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর দিয়ে ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
তবে সোমবার সকাল থেকে মহসড়কের উপরদিয়ে ঢলের পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় ভারী যানবাহনের পাশপাশি হালকা যানবাহন চলাচল করা শুরু করেছে।
অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহা-সড়কসহ দোহাজারী সার্কেলের আওতাধীন প্রায় ১১০ কিলোমিটার সড়ক ও মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টাকার অংকে তা ৪৭ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা বললেন সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন।
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চন্দনাইশ উপজেলায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার চন্দনাইশ পৌরসভার ৯টি ও দোহাজারী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড ছাড়াও উপজেলার সাতবাড়িয়া, বৈলতলী, বরমা, বরকল, জোয়ারা, হাশিমপুর ও কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের সর্বত্রই ঢলের পানিতে থৈ থৈ করছে।
চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ ন ম বদরুদ্দোজা বলেন, উপজেলার সর্বত্রই পানি আর পানি তার হিসেবমতে চন্দনাইশ উপজেলায় ঢলের পানি কিছুটা উন্নতির পথে হলেও উপজেলার অন্তত ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলায় ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে ৩ হাজার প্যাকেট ও চন্দনাইশ সমিতির পক্ষ থেকে ১ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বখতেয়ার আলমের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম গঠন করে বন্যার্তদের নিয়মিত চিকিৎসা সেবাও দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে আনোয়ারা সার্কেল এ এস পি মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে চন্দানাইশ থানা ও হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়া উপজেলার হাশিমপুর ও সাতবাড়িয়ার সোনাবট তলা এলাকায় যানবাহন চলাচলে সাবির্ক সহযোগিতা করতে দেখা গেছে।
গত ১০ দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুত কুমার শাহা বলেন, ব্যাপক আকারে ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হলেও উপজেলারগুলোর উপর দিয়ে প্রবাহিত পানি সরে যাওয়ার পরেই প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে নিশ্চিত করেন কর্মকর্তাগণ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা