২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিয়ে নিয়ে ক্ষোভ : অতঃপর মা-মেয়েকে হত্যা!

মা-মেয়ে খুনের রহস্য উদঘাটন - সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সাত মাস আগে ব্যাংক কর্মকর্তা মেয়ে ও তার মাকে হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। নিহত মা-মেয়ের এক স্বজন গ্রেফতারের পর হত্যার সব দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়ার পর পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে হত্যাকাণ্ডের পেছনে ৫ জন জড়িত থাকার তথ্য। গোয়েন্দা পুলিশ ইতোমধ্যে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চারজনকে গ্রেফতার করেছে। 

তাদের একজনের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর বরাত দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইলিয়াছ খান বলছেন, এ হত্যাকাণ্ডে নিহতদের ওই স্বজন মুশফিকুর রহমানসহ পাঁচজন জড়িত ছিলেন। হত্যার পর তারা কুরআন শরিফ ছুঁয়ে শপথ করেছিলেন যে, যদি কেউ গ্রেফতার হন তাহলে অন্য কারো নাম তারা বলবেন না।

নগরীর খুলশী আমবাগান এলাকার মেহের মঞ্জিল ভবনের পানির ট্যাংক থেকে গত বছরের ১৫ জুলাই সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা (৬৭) ও তার ৯৪ বছর বয়সী মা মনোয়ারা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 
এ ঘটনায় মনোয়ারার সেজ ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গত বছরের ২৩ জুলাই মেহেরুন্নেসার ভাইপো ও মনোয়ারার নাতি মুশফিকুর রহমানকে (৩২) গ্রেফতার করে।
মুশফিক মনোয়ারার মেজ ছেলে মতিউর রহমানের সন্তান। ২০০৪ সালে মতিউর মারা যাওয়ার পর মুশফিকের মাকে বিয়ে করেন তার সেজ চাচা মোস্তাফিজুর, যিনি মামলার বাদি।

মেহেরুন্নেসা ও মনোয়ারার কাছে বড় হওয়া মুশফিক তাদের অমতে বিয়ে করায় তাকে মেহের মঞ্জিল ছাড়তে হয়েছিল। এ নিয়ে দাদি-ফুপুর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি।
গ্রেফতারে পরদিন মুশফিক মহানগর হাকিম আবু সালেম মো: নোমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেছিলেন, টাকা না পেয়ে নিজেই তার দাদী ও ফুপুকে হত্যা করে লাশ পানির ট্যাংকে ফেলে দিয়েছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের দায় তার নিজের ওপর তুলে নেন। 

এর পরও তদন্ত চালিয়ে যান পরিদর্শক ইলিয়াছ খান। নিহত মেহেরুন্নেসার খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার মো: মুসলিম (২৫) নামে এক রাজমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করা হয়। মুসলিম ঘটনার ৩-৪ দিন আগে ওই বাড়িতে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতে এসেছিল। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে মেহেরুন্নেসার প্রতিবেশী মো: মাসুদ রানা (৩৯) ও মো: শাহাবউদ্দিন ওরফে সাবু ওরফে মুছা (৩৭) নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখতে ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট দেবে যুক্তরাষ্ট্র আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার : আইনমন্ত্রী টিউবওয়েলের পানি খেয়ে আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ নারী আম্পায়ার নিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আসলে কী ঘটেছিল? কোরবানির জন্য পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আশুলিয়ায় নারী পোশাকশ্রমিক নিহত, স্বামী গ্রেফতার জাতিসঙ্ঘের ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ৭ খুন মামলার রায় কার্যকরের দাবি পরিবার ও আইনজীবীদের জামালপুরে শ্রেণিকক্ষে ফ্যান খুলে পড়ে শিক্ষার্থী আহত নিজ নিজ ম্যাচে জয়ী হয়ে লা লিগায় শীর্ষ চারের আরো কাছাকাছি এ্যাথলেটিকো ও জিরোনা নাগরপুরে ট্রাক্টর-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

সকল