০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুমকিতে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

পটুয়াখালীর দুমকিতে মো: সিয়াম (১২) নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে নির্জন জঙ্গলে নিয়ে গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মো: রিফাত নামের আরেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তেঁতুল বাড়িয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সিয়াম উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জসিম শিকদারের ছেলে।

অভিযুক্ত রিফাত পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঞ্চন হাওলাদারের মেয়ের ঘরের নাতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিয়াম এবং তার সহপাঠী রিফাত ছোটবেলা থেকেই পাঙ্গাশিয়া নলদোয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একসাথে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে। বর্তমানে সিয়াম লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ছোট থেকেই রিফাত নানা বাড়িতেই থাকেন। তাই সিয়াম ও রিফাতের বসবাস পাশাপাশি এলাকায়। বর্তমানে সিয়াম অন্য প্রতিষ্ঠানে পড়লেও সহপাঠী হিসেবে সিয়াম ও রিফাতের মধ্যে মোটামুটি একটা বন্ধুসুলভ সম্পর্ক ছিল।

আহত সিয়ামের বাবা জসিম সিকদার বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে সিয়াম ও রিফাতের মধ্যে একটা ঘনিষ্ঠতা লক্ষ্য করেছি। তবে, ওদের মধ্যে কোনো সময় কোনো ঝগড়াঝাটি হয়নি। শুনেছি, রিফাত কিশোর গ্যাংয়ের নেতা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিয়ামকে ডেকে অটোরিকশায় করে তেতুল বাড়িয়া নামক এলাকার এক নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং সেখানে নিয়ে সিয়ামকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করলে সিয়ামের চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন টের পেলে রিফাত পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিক সিয়ামকে ঢাকায় রেফার করেন। বর্তমানে সিয়াম ঢাকার আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।’

দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।’


আরো সংবাদ



premium cement

সকল