কৃষি বিপণন অধিদফতরের বেঁধে দেয়া দামে গরুর গোশত ও সবধরনের মুরগি বিক্রি বন্ধ ঘোষণার পাঁচ দিনের মাথায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে ঝালকাঠির ব্যবসায়ীরা। অবশেষে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর গোশত ৬৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করেছে তারা। এতে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জানা যায়, কৃষি বিপণন অধিদফতর ২৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। এর পর ১৭ মার্চ থেকে ঝালকাঠির ব্যবসায়ীরা গরুর গোশত ও ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি বিক্রি বন্ধ করে দেন। টানা পাঁচদিন বাজারে কিংবা বাইরের কোনো দোকানে গোশত ও মুরগি বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করে ধর্মঘটের ডাক দেয় ব্যবসায়ীরা। এতে বিপাকে পড়েন ক্রেতারা। হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়া গোশত ও মুরগি কিনতে না পেরে অনেককেই খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। অবশেষে মুরগি বিক্রেতারা সরকারের নির্ধারিত ১৭৫ টাকা কেজি মূল্যে ব্রয়লার ও গোশত বিক্রেতারা ৬৫০ টাকা কেজিতে গরুর গোশত বিক্রি শুরু করেছে বিক্রেতারা।
জেলা প্রশাসক দফায় দফায় বাজার কমিটি, ব্যবসায়ী, গোশত ও মুরগি বিক্রেতাদের সাথে বৈঠকের পরে ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন মুরগির খামার মালিক এবং পাইকারি বিক্রেতাদের সাথেও বৈঠক করেন।
বিক্রেতারা বলছে, সরকার নির্ধারিত দামে গোশত বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এর পরেও জনসাধারণের স্বার্থে তারা সরকার নির্ধারিত দামেই গোশত ও মুরগি বিক্রি করবেন।
ঝালকাঠির গোশত ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের বলেন, গরুর যে দাম, তাতে গোশত সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করলে লোকসান হবে, তবুও জনস্বার্থে আমরা বিক্রি শুরু করেছি।
ঝালকাঠি শহরের মুরগি ব্যবসায়ী ছোহরাব হোসেন বলেন, আমাদের লোকসান হলেও কিছু করার নেই। এখন সরকার নির্ধারিত মূল্যেই মুরগি বিক্রি করছি। আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি। খামার মালিকরা যদি আমাদের সঠিক মূল্যে মুরগি দেয়, তাহলে আমাদের লোকসান হবে না।