বরগুনার তালতলীতে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে তরমুজ। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় পাইকাররা তরমুজ ক্রয় করতে আসেনি। আর পরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষেতেই তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাই তরমুজ বিক্রি করতে পারেনি চাষী হারুন। এজন্য তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে তরমুজ বিক্রির জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করে লিখিত প্রত্যায়ন দিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার কবিরাজ পাড়া এলাকার চাষী হারুন অর রশিদ বিভিন্ন এনজিও, ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ও স্থানীয় রাখাইনের জমি নগতটাকা দিয়ে আট একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। প্রতি দিনই তরমুজ ক্ষেতের পরিচর্যা করেন তিনি। এর পরে ক্ষেতে গত বছরের চেয়ে ভালো ফলনও ধরে। চাষী হারুনের মুখে আনন্দের হাসি থাকার কথা থাকলেও দেশে চলমান করোনাভাইরাসের কারণে সঠিক সময় তরমুজ বিক্রি না করতে পেরে মুখে হাসির পরিবর্তে রয়েছে বিষন্নতার ছাপ।
একদিকে আসছে না তরমুজ পাইকারীরা, অন্যদিকে লকডাউনের কারণে সাপ্তাহিক ও দৈনিক হাটগুলোতে নেই খুচরা ক্রেতারা। আর বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটের যোগাযোগের খুবই বেহাল অবস্থা। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পথে বসতে চলেছেন তরমুজ চাষী হারুন। এতে করে তার পরিবারেও চলছে হাহাকার। এজন্য চাষী হারুন প্রশাসনের সহযোগিতা চায়। চাষী হারুনকে তরমুজ বিক্রির জন্য পরিবহনের ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা করে দেয় প্রশাসন। এতে খুশি চাষী হারুনের পরিবার।
চাষী হারুন অর রশিদ বলেন, করোনা ও বৃষ্টির কারণে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তরমুজ। তাই পরিবার নিয়ে এখন পথে বসতে হচ্ছে। এই খবর পেয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামান আমাকে তরমুজ বিক্রির জন্য ব্যবস্থা করে দেয়াতে কিছুটা হলেও লাভবান হতে পারবো। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের এমন কাজে খুশি হয়েছি।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক জেলা প্রশাসনের অনুমতির মাধ্যমে পচনশীল কৃষি পণ্য বাজারজাত করার জন্য চাষী হারুন অর রশিদকে তার ক্ষেতের তরমুজ বিক্রির জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।