বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্টোর রুম ৭দিন ধরে তালাবদ্ধ করে রাখায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গর্ভবতীসহ এলাকার হতদরিদ্র মানুষ।
গত ১৪ জুলাই উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ফাতেমা বেগম স্বামীর মোটর সাইকেল চুরির ভয়ে স্টোর রুমে ডুকিয়ে রুমের দরজা তালাবদ্ধ করে রাখেন। এতে ঐ ইউনিয়নের শত শত রোগী ভোগান্তির শিকার হচ্ছন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইঊনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ফাতেমা বেগম ঔষধ রাখার ষ্টোর রুম আটদিন ধরে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। ওতে ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ফরিদা বেগম স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলেও ষ্টোর রুম তালাবদ্ধ থাকায় গর্ভবতী নারীসহ এলাকার হতদরিদ্র মানুষকে কোনো প্রকার ঔষধ দিতে পারছেন না।
স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা ফরিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ডাঃ ফাতেমা বেগমের কাছে ষ্টোর রুম খুলে দিতে বললেও তিনি তা খুলে দিচ্ছেন না। স্বামী সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ তুহিন মিয়ার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ঔষধের স্টোর রুমে রাখার কারনে তিনি স্টোর রুম তালাবদ্ধ করে রাখেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সামনে গর্ভবতী নারী, বৃদ্ধ ও শিশু রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ঔষধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
ডালাচারা গ্রামের গর্ভবতী নারী তাছলিমা বেগম (৩০) জানান, তিন কিলোমিটার পথ হেটে ঔষধ নিতে এসে স্টোর রুম তালাবদ্ধ থাকায় ঔষধ নিতে পারি নাই। নাইয়া পাড়া গ্রামের জেসমিন, মাহিনুর শিশু সন্তানকে নিয়ে দুই বার চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ঔষধ না নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে বলে জানান। এভাবে গত এক সপ্তাহ ধরে শতাধিক রোগী ঔষধ না নিয়ে ফিরে গেছেন।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কমিনিউনিটি মেডিকেল অফিসার ফাতেমা বেগম বলেন, স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা ফরিদা বেগম ইপিআই রুমের তালা ভেঙ্গে ঔষধ রাখার কারণে ঐ কক্ষ তালাবদ্ধ করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী নয়াদিগন্তকে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি তবে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সরোয়ার হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা: হুমায়ুন শাহিন খান নয়া দিগন্তকে বলেন, দ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা