১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


কয়রায় চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা প্রশাসনের অনুমোদন নেই

-


আত্মঘাতী স্যালো বা ড্রেজার মেশিন দিয়ে খুলনার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদ ও সুন্দরবনের অভ্যন্তরের নদীগুলো থেকে অবাদে চলছে বালু উত্তোলন। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি বহাল তবিয়তে অবৈধভাবে তাদের বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল থেকে মাটি-বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী বাঁধ ও সুন্দরবনের ভিতরের নদীরপাড় এখন ভাঙনের মুখে বাড়ছে। শুধু তাই-ই নয় বালু ব্যবসায়ীরা জনবসতিপূর্ণ এলাকার ফসলি জমি থেকেও মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই এসব কারবার হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবৈধ কর্মযজ্ঞ চললেও বন্ধের কেনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কোথাও বার্জ থেকে বালু নামানো হচ্ছে, কোথাও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। হরিহরপুর এলাকায় দেখা যায় ড্রেজার দিয়ে সুন্দরবন-সংলগ্ন শাকবাড়িয়া নদীর মাঝ থেকে বালু তুলছে শ্রমিকরা। এর একটু দূরেই শাকবাড়িয়া বন টহল ফাঁড়ি। সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে বীণাপানি এলাকায় বার্জ থেকে পাইপের মাধ্যমে বাঁধের ঢালে বালু ফেলা হচ্ছিল। নিশ্চয়ই প্রশাসনের চোখে এসব পড়ার কথা।

জানতে চাইলে বনবিভাগের খাসিটানা টহল ফাঁড়ির ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, রোজার সময় কয়েকজন ড্রেজার মালিক বালু তুলছিলেন। তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে।
এ দিকে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের জয়পুর থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজের জন্য ফসলি জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে দিন-রাত বালু তোলা হচ্ছে। বালু তোলার কাজে নিয়োজিত ড্রেজার মালিকরা জানান, তারা স্থানীয় তরিকুল ও ফিরোজ নামের দুই ব্যক্তির হয়ে কাজ করছেন। এ কাজের জন্য প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে প্রতি ঘনফুট বালুর জন্য ৫০ পয়সা করে অতিরিক্ত দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, তরিকুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেজার দিয়ে এ বালি তোলার ব্যবসা করছেন। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটা ড্রেজার বিভিন্ন জায়গায় তার বালি তোলার কাজ করে। ইয়াসিন মোল্লা নামে একজন ড্রেজার মালিক জানান, তরিকুল, ফিরোজ এবং তিনি নিজে চারটি ড্রেজার ভাড়া করেছেন। তাদেরকে প্রতি ফুট বালু তোলার জন্য চার টাকা করে দেয়া হয়। এর থেকে প্রতি ফুটে ৫০ পয়সা করে কেটে রাখা হচ্ছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করার জন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ড্রেজার মালিক জানান, প্রশাসনের নামে কারো কাছ থেকে টাকা কেটে রাখা হচ্ছে না। অন্য কেউ করছে কি না জানা নেই। তিনি আরো বলেন, আমি কাজ শুরু করার আগে অন্যরা কাজ করছে। তখন একবার এসিল্যান্ড এসে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে আবার যেকোনোভাবে হোক কাজ শুরু হয়। তখন আমিও শুরু করি।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বি এম তারিক উজ জামান বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আসছিল বালি তোলার খবর পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। যদি আবার তারা বালু তোলে, তখনই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ম্যানসিটির টানা চতুর্থ শিরোপা কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে বান্দবানে মানববন্ধন তাপপ্রবাহের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য নতুন নির্দেশনা ‘ভুয়া তথ্য’ ছড়িয়ে কিরগিজস্তানে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা রংপুরে হুমকি দাতা ইউপি মেম্বারকে তলব করল রিটার্নিং কর্মকর্তা রাইসির মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট মিরসরাইয়ে ফের মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস প্রচারণার গাড়ি ভাঙচুর মারধর, মানববন্ধন সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে কম্বোডিয়ায় দু’টি চীনা যুদ্ধজাহাজ, উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন হাতিয়ায় হরিণের গোশত জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড আশুগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অটোরিকশা চালকের মৃত্যু

সকল