২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইন্দোনেশিয়ায় নৌকাডুবি : সাগর থেকে ৩ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার

ইন্দোনেশিয়ায় নৌকাডুবি : সাগর থেকে ৩ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার - ছবি : ইউএনবি

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের কাছে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাডুবির পর তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে প্রাদেশিক তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থা।

বৃহস্পতিবার নৌকাটির উল্টে যাওয়া হালে রাতভর গাদাগাদি করে আশ্রয় নেয়া ৪৪ জন পুরুষ, ২২ জন নারী ও ৯ জন শিশুসহ ৭৫ জনকে উদ্ধার করে জেলে, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল।

কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলেও বেশিরভাগকেই আচেহ বারাত জেলার একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়। অনেকে যাত্রাপথে পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন বলে ইউএনএইচসিআর কর্মীদের জানিয়েছেন।

শনিবার জেলেরা তিনটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানায়।

রোববার এক বিবৃতিতে বান্দা আচেহ সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান আল হুসেইন জানান, ওই এলাকায় তল্লাশির পর তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। যাদের মধ্যে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও একজন পুরুষ। তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী। তারা ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রী ছিলেন।

লাশগুলো আচেহ জায়া জেলার কালাং শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ইউএনএইচসিআরের কর্মী ফয়সাল রহমান বলেন, বেঁচে যাওয়া কয়েকজন মৃতদেহ শনাক্ত করতে সাহায্য করেছেন।

ফয়সাল রহমান আরো জানান, তারা নৌকায় একসাথে ছিল কি না যাচাই করতে শরণার্থীদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত করতে ও যাচাই করার জন্য বেছে নেওয়া হয়।

আচেহর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শনিবার থেকে নিকটবর্তী পানিতে মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেছে বলে খবর পেয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে সমুদ্র যাত্রা করে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে প্রায় ৭০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী নিখোঁজ বা নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে, যারা ২০১৭ সালে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংস বিদ্রোহ দমন অভিযান থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছিল। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার এবং অধিকাংশই নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত।

থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মতো ইন্দোনেশিয়াও জাতিসংঘের ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। তাই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রহণ করতে বাধ্য নয় দেশটি। তবে সাধারণত বিপদগ্রস্ত শরণার্থীদের সাময়িক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে।

সূত্র : এপি/ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement

সকল