০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মালয়েশিয়ায় লকডাউনে প্রবাসীদের সাদামাটা ঈদ উদযাপন

মালয়েশিয়ায় লকডাউনে প্রবাসীদের সাদামাটা ঈদ উদযাপন - ছবি- নয়া দিগন্ত

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে লকডাউনের মধ্য মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা এক প্রকার নিষ্প্রাণ ও সাদামাটা ঈদ উদযাপন করেছেন। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে বৃহস্পতিবার প্রবাসীরা ঈদগাহ বা জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেননি। অনেকেই মসজিদের বাইরে খোলা জায়গায় ও নিজ ঘরে নামাজ আদায় করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় ৭ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত মাসব্যপী লকডাউন ঘোষণায় দেশটিতে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশীর মধ্যে অনেকেই ব্যবসা ও চাকরি হারিয়েছেন। আর্থিক টানাপোড়েন, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে গত বছরের দু’টি ঈদের মতো এবারের ঈদুল ফিতরও অতিবাহিত হয়েছে প্রবাসীদের। করোনার কারণে দীর্ঘ এক বছরেও বেশি সময় ধরে চাটার্ড ফ্লাইট ব্যতিত স্বাভাবিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় প্রবাসীরা ছুটিতে নিজ দেশেও ফিরতে পারছেন না। অপর দিকে যারা দেশে ফিরেছেন তারাও মালয়েশিয়ায় ফিরত পারছেন না। অনিশ্চিয়তার মাঝেই তিনটি ঈদ অতিবাহিত হলো।

মালয়েশিয়ার সরকারের বেধে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, প্রত্যেক মসজিদে ৫০ জনের বেশি অনুমতি না থাকায় প্রবাসীরা এবার জামাতে নামাজ আদায় করার সুযোগ পাননি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরে শুধু বাংলাদেশী মসজিদ তিতিংসায় সূরাও বায়তুল মোকাররম ও কোতারায়া বাংলাদেশী মার্কেটের মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় প্রতিবছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদসহ সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশে ঈদ উদযাপন হবে শুক্রবার।

চলমান লকডাউন প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেছেন, বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৭ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত চলবে লকডাউন এমসিও ৩.০। লকডাউনের মধ্যে অর্থনীতি সচল রাখতে অর্থনৈতিক ও উৎপাদন খাতগুলো যথারীতি খোলা থাকছে। আন্তঃজেলায় যাতায়াত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট ও সভা সমাবেশ বন্ধ থাকবে। শর্ত সাপেক্ষে বিয়ের অনুষ্ঠান, ঈদের নামাজ, মসজিদ ও উপাসনালয়গুলো সীমিত সংখ্যক লোকের উপস্থিতিতে পরিচালিত হতে পারে। অফিস ও প্রাইভেট সেক্টরে ৩০ ভাগ স্টাফ কাজ করতে পারবে। বাকিরা বাসায় অফিসের কাজ করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement