১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


মালয়েশিয়ায় জরুরি অবস্থায় যে সব বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার

-

মালয়েশিয়ায় করোনা রোধে মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার ২.০ লকডাউনের পাশাপাশি শর্তাধীন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত লকডাউন বহাল থাকবে। একই সাথে নাগরিকদের ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করলেও কোনো কারফিউ জারি করা হয়নি।

এমতাবস্থায় কী করা যাবে আর কী করা যাবে না, তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় রয়েছেন। বিশেষ করে
বাংলাদেশী প্রবাসীরা আবারো কাজ হারিয়ে সঙ্কটে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে। বুধবার দেশটির শিক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ রাদজী মো: জিদিন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আজমিন আলী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা। ওই প্রতিবেদনে লকডাউনের যাবতীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার যে সব এলাকা বা প্রদেশগুলোতে এমসিও’র বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে সেগুলো হলো, পেনাং, সেলেঙ্গর, মালাক্কা, জোহর, সাবাহ, কুয়ালালামপুর, পুত্রজায়া ও লাবুয়ান।

শর্তসাপেক্ষে এমসিওর আওতাভুক্ত রাজ্যগুলো হলো, পাহাং, পেরাক, নেগেরি, সেম্বিলান, কেদাহ, তেরেংগানু ও কেলানটান। এছাড়াও সারওয়াকের কুচিং, সিবু ও মিরিও শর্তাধীন এমসিওর অধীনে থাকবে।

যে সমস্ত এলাকায় এমসিও লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে সে সমস্ত এলাকায় নিম্নে বর্ণিত
বিধিনিষেধগুলো মেনে চলতে হবে, একাধিক সামাজিক ক্রিয়াকলাপ যেমন সভা, প্রদর্শনী, পুনর্মিলনী, সেমিনার ও বিবাহ অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ থাকবে। খেলাধুলা ও বিনোদনমূলক ক্রিয়াকলাপ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে ভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকবে। শিশু যত্ন ও পরিচর্যা কেন্দ্র এবং বেসরকারি কিন্ডার গার্টেনগুলো কর্মজীবী সন্তানদের দেখভালের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে সরকারচালিত কিন্ডার গার্টেনগুলো বন্ধ থাকবে।

সিনিয়র প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসমাইল সাবরির জানান, এমসিওর অধীনে স্থানগুলোতে অনুমোদনবিহীন ক্রিয়াকলাপগুলো হলো, রাত্রিকালীন বাজার, বস্ত্রের দোকান, লন্ড্রি, চোখের ডাক্তার, নাপিত ও হেয়ার স্যালুন, স্পা ও রিফ্লেক্সোলজি কেন্দ্র, কোচিং, বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস ও ক্লাব, পার্ক, সিনেমা হলগুলো, কনসার্ট ও লাইভ ইভেন্ট, বৈঠক, সম্মেলন ও প্রদর্শনীসহ সামাজিক অনুষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকবে।

সাধারণভাবে, সবাইকে অবশ্যই বাড়িতে থাকতে হবে, তবে খাদ্য, ওষুধ ও মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের জন্য বাইরে যাওয়া যাবে। এসময় নিজ এলাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটারের বেশি যাতায়াত করা যাবে না। একটি গাড়িতে দু’জনের বেশি যাত্রী উঠা যাবে না। যদিও মার্চের প্রথম এমসিও এর মতো গণহারে শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবার বন্ধ থাকবে না।

অর্থনীতি সচল রাখতে কিছু সেক্টর খোলা থাকবে। তবে ইমিগ্রেশনে ভিসা নবায়ন ও অন্যান্য কার্যাদি বন্ধ থাকবে। তবে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বন্ধ থাকবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement