০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণের সম্মুখীন এশীয় দেশগুলো

দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণের সম্মুখীন এশীয় দেশগুলো - ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয় দফায় বহিরাগত করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্মুখীন এশীয় দেশগুলো। বাইরে থেকে আগত মানুষ ভাইরাসটি নিয়ে এশীয় দেশগুলোতে প্রবেশ করছে। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও চীনে এমন সংক্রমণ পরিলক্ষিত করা গেছে। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীন বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো জানিয়েছে, সেখানে স্থানীয়ভাবে কোনো সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। চীনের জন্য এ ঘটনাকে বড় ধরনের মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ভাইরাসটির প্রাণকেন্দ্র ছিল চীন। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি। মারা গেছেন তিন হাজারের বেশি।

এ দিকে, স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ না হলেও অন্যান্য দেশ থেকে ফেরত আসা মানুষের মধ্যে ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীন। চীনের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরে নতুন ৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৩ জনই অন্যান্য দেশ থেকে সিঙ্গাপুর ফেরত গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়ও। সেখানে বৃহস্পতিবার ১৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এর মধ্যে কতজন অন্যান্য দেশ থেকে ফিরেছেন তা জানা যায়নি।

গত বুধবার জাপানে নতুন তিনজন আক্রান্ত ধরা পড়েছে। তবে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে অনেকটা। দেশটির হোক্কাইদো শহর থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে জরুরি অবস্থা। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার হলেও জনগণকে সতর্ক ও বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বুধবার এক বিবৃতিতে হোক্কাইদোর গভর্নর নাওমিচি সুজুকি বলেন, মানুষজনকে বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখতে আমরা জোরদার পদক্ষেপ নিয়েছি; কিন্তু এখন থেকে আমরা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কাজ করব। সামাজিক দূরত্ব ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বজায় রাখব।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, দেশটিতে স্থানীয়ভাবে কোনো সংক্রমণ ঘটেনি। এমনকি ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল উহানেও কোনো সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিদেশ থেকে ফেরত যাওয়া ৩৪ জন নাগরিকের মধ্যে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত করা গেছে। এশীয় দেশগুলোর মধ্যে উপরিউল্লিখিত চারটি দেশই ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সফলতা প্রদর্শন করেছে। তবে অঞ্চলটির অন্যান্য দেশে ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি তাদের সফলতাকে ঢেকে দিতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে মালয়েশিয়ায়। দেশটিতে গত বুধবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৭১০ জন। পুরো দেশে আংশিকভাবে জারি করা হয়েছে লকডাউন।

ভাইরাসটির প্রাণকেন্দ্র এশিয়া থেকে ইউরোপে সরে গেছে। পুরো বিশ্বের নজর এখন সে দিকে। বৃহস্পতিবার ইতালি সরকার জানিয়েছে, সেখানে এক দিনে মারা গেছেন ৪৭৫ জন। স্পেনে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬০০ জনে পৌঁছেছে। ফ্রান্স ও ব্রিটেনে মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ২৬৪ জন ও ১০৪ জন। ব্রিটিশ সরকার দেশজুড়ে স্কুল বন্ধ ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ রাজ্যেই ছড়িয় পড়েছে করোনাভাইরাস। আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৩১৩ জন। মারা গেছেন ১৪৭ জন। সূত্র : বিবিসি

 


আরো সংবাদ



premium cement
শায়েস্তাগঞ্জে সাবেক সেনা সদস্য ট্রাকচাপায় নিহত ইসরাইল-গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে কায়রোতে জোরদার প্রচেষ্টা ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫ ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী আটক গাজীপুরে তুলার গুদামে আগুন স্টপেজের দাবিতে ফরিদপুরে প্রথম দিনই ট্রেনের গতিরোধ সন্দেশখালির ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো, বিজেপি নেতার ভিডিওতে তোলপাড় খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাতে মা-ছেলের মৃত্যু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় পূর্ব আফ্রিকায় মানবিক সঙ্কটের অবনতির হুমকি স্বরূপ এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ ঘোষণা অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে বাংলাদেশ-মিসরের আলোচনা

সকল