০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


তিউনিসিয়ায় পার্লামেন্ট সক্রিয় আছে : গানুশি

রশিদ গানুশি - ছবি : সংগৃহীত

তিউনিসিয়ার স্থগিত পার্লামেন্টের স্পিকার রশিদ গানুশি বলেছেন, দেশটির পার্লামেন্ট সক্রিয় রয়েছে। পার্লামেন্ট সদস্যদের উচিত হবে তাদের স্বাভাবিক কাজ অব্যাহত রাখার।

শুক্রবার এক টুইট বার্তায় এই ঘোষণা করেন তিনি। এর মাধ্যমে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলেন পার্লামেন্ট স্পিকার ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আননাহদার প্রধান গানুশি।

এর আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে বহিস্কার ও পার্লামেন্ট স্থগিতের দুই মাস পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন কায়েস সাইদ। ভূতত্ত্ববিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক নাজলা বুউদেন রমাদানকে তিউনিসিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট সাইদ।

এদিকে পার্লামেন্ট ভবনে সদস্যদের প্রবেশে বাধা দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন রাখা হয়েছে। তিউনিসের লে বারদো ডিস্ট্রিক্টের পার্লামেন্ট ভবনে পথচারী ও গাড়ি প্রবেশের সবধরনের পথ রোধ করে রাখা হয়েছে।

এদিকে রোববার রাজধানী তিউনিসে প্রেসিডেন্ট সাইদের সমর্থক ও বিরোধীরা সমাবেশের পরিকল্পনা করছেন।

গত ২৫ জুলাই করোনা পরিস্থিতিতে তিউনিসিয়ায় সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জেরে আকস্মিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর রাতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ দুই বছর আগে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত, প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশিকে বরখাস্ত ও দেশের নির্বাহী ক্ষমতা নিজের হাতে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আদেশ জারি করেন।

পরে ২৩ আগস্ট 'রাষ্ট্রের জন্য হুমকি' বিবেচনায় পরবর্তী আদেশ দেয়া না পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ।

অপরদিকে ২২ সেপ্টেম্বর জারি করা এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধানের কিছু অংশ স্থগিত করার মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা জোরদার করেন সাইদ।

তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশকে 'সাংবিধানিক অভ্যুত্থান' বলে অভিযোগ করে আসছে।

২৬ জুলাই দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আননাহদার প্রধান ও পার্লামেন্ট স্পিকার রশিদ গানুশিসহ দলীয় পার্লামেন্ট সদস্য ও সমর্থকরা রাজধানী তিউনিসে পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। অপরদিকে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের সমর্থকরাও পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হন। এই সময় দুই পক্ষের মধ্যে পরস্পরের প্রতি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ। একইসাথে তিনজনের বেশি লোককে প্রকাশ্যে জমায়েত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিলো।

এছাড়া বেশ কিছু মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন কায়েস সাইদ। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে দেশটিতে গৃহবন্দী করা হয়েছে।

তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের এসব পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে দেশটিতে স্বৈরাচারী শাসন ফিরে আসার শঙ্কায় আছেন।

২০১১ সালে আরব বসন্তের সূচনাকারী দেশ তিউনিসিয়ায় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে ২৪ বছর দেশটি শাসন করা একনায়ক জাইন আল আবেদীন বিন আলী ক্ষমতাচ্যুৎ হন। এর পর থেকেই গত দশ বছর ভঙ্গুর অবস্থা সত্ত্বেও আরব বিশ্বের একমাত্র গণতান্ত্রিক শাসন উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে চালু ছিলো।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
ভিসা জটিলতায় আয়ারল্যান্ড সিরিজে অনিশ্চিত আমিরের জামালপুরে অ্যাজেন্টদের মারধরের অভিযোগ, আহত ৩ ট্রাম্পের সাথে যা ঘটেছিল পর্ন তারকা স্টর্মির মধ্য বয়স থেকে যে অভ্যাসগুলো আপনার আয়ু বাড়াবে শাল্লায় ২ চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, কারাগারে ৪ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যুক্তরাজ্যের এফসিডিও'র ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ রাফায় ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে : রাশিয়া মিরসরাইয়ে জাল ভোট, ৩ নির্বাচনী কর্মকর্তা আটক উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে : মেজর হাফিজ হজযাত্রীদের জীবন আল্লাহর রাস্তায় উজাড় করে দিতে হবে : জামায়াত আমির ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক

সকল