১৫ মে ২০২৪, ০১ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫
`


ইউএস-বাংলার পাইলট মানসিক চাপে ছিলেন : নেপালি পত্রিকা

সিসিটিভি ক্যামেরার ছবিতে ফ্লাইট বিএস-২১১ বিধ্বস্ত হওয়ার আগের মুহূর্ত - ছবি: কাঠমান্ডু পোস্ট

কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটির পাইলট আবিদ সুলতান ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ‘অত্যধিক মানসিক চাপ ও উদ্বেগের’ মধ্যে ছিলেন বলে এক রিপোর্টে দাবি করেছে নেপালের ইংরেজি দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট।

ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলেছে, অবতরণের আগে পাইলট কন্ট্রোল টাওয়ারকে ‘মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন এবং এক ঘণ্টার ওই পুরো ফ্লাইটে ককপিটে বসেই ধূমপান করেছেন।’

গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে ৭১ জন আরোহী নিয়ে রওনা হয়ে কাঠমান্ডুতে নামার সময় দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস-২১১। আরোহীদের মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যু হয়, যাদের ২৭ জন ছিলেন বাংলাদেশি।

ওই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেপাল সরকারের গঠিত তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার দাবি করে কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, ওই ফ্লাইট পরিচালনার সময় পাইলট আবিদ সুলতানের আচরণ তার স্বাভাবিক চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। এ বিষয়টি আগেই নজরে আনা উচিৎ ছিল বলে নেপালি তদন্তকারীদের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে ওই তদন্ত দলে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে থাকা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ফ্লাইট অপারেশন কনসালটেন্ট সালাউদ্দিন এম রহমতউল্লাহ কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনটি ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ঢাকার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে তিনি বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ ভূয়া ও মিথ্যা তথ্য। এমন কোনো কিছুই এখনো তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসেনি।’

তদন্ত রিপোর্টের বরাত দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্টের রিপোর্টে বলা হয়, অবতরণের সময়ের ছয় মিনিট আগে পাইলট আবিদ সুলতান ত্রিভুবনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে তার উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার নামানো ও লক করার কথা জানান। তিনি ‘গিয়ারস ডাউন, থ্রি গ্রিনস’- এই মেসেজ দেন কন্ট্রোল টাওয়ারকে; কিন্তু কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ অবতরণের আগে শেষবারের মত সব প্রস্তুতি মিলিয়ে দেখতে গেলে দেখা যায় ল্যান্ডিং গিয়ার তখনও নামানো হয়নি।

এর কয়েক মিনিটের মাথায় ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি রানওয়ের একপাশে বিধ্বস্ত হয় এবং অগ্নিকূণ্ডে পরিণত হয়।

ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র আবিদ এক সময় বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ছিলেন। ইউএস বাংলার কর্মকর্তারা বলে আসছেন, আবিদ সুলতানের সাড়ে ৫ হাজার ঘণ্টা ফ্লাইট চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল এবং তিনি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ চালিয়েছেন ১৭০০ ঘণ্টার বেশি। তাই ওই দুর্ঘটনায় এই অভিজ্ঞ পাইলটের কোনো দায় ছিল না বলেই তাদের বিশ্বাস।

শতাধিকবার ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের অভিজ্ঞতা যার রয়েছে, সেই আবিদ সুলতানের পরিচালনায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি কীভাবে বিধ্বস্ত হল, সে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই।


আরো সংবাদ



premium cement
‘অস্ত্র তাক করলে মনে হতো মায়ের কাছে ফেরা হবে না’ জর্জিয়ার‘বিদেশী প্রভাব' আইন নিয়ে ভলকার তুর্কের গভীর দুঃখ প্রকাশ সাকিব- মাহমুদউল্লাহকে বিশেষ উপহার দিতে চান শান্ত, আছে চাওয়াও চার শ’ অনেক দূর, বিজেপির হাত থেকে কি সংখ্যাগরিষ্ঠতাও ফসকে যাচ্ছে? নোয়াখালীতে আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রস্তুতি নিয়ে তৃপ্ত কোচ-অধিনায়ক, ছাপিয়ে যেতে চান আগের সব আসরকে পেছনে নয়, আমরা সামনে তাকাতে চাই : ডোনাল্ড লু বগুড়ায় আ’লীগ নেতা খুনের আসামি খুন মিরসরাইয়ে কবর খুঁড়তে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তুর উদ্ধার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র : পরিবেশমন্ত্রী ফের ৫২ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি

সকল