আদালত চত্বরে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর হামলা দেশের আইনের শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর আঘাত বলে মনে করেন নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশী লেখক-সাংবাদিকরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আয়োজিত সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে কথা জানান বক্তারা। এসময় তারা এ বর্বোরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান সমাবেশে অংশ নেয়া সাংবাদিকরা।
এঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে অবিলম্বে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান সাংবাদিকরা। অবিলম্বে বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিও জানান বক্তারা।
প্রেসক্লাবের সভাপতি ডা. ওয়াজেদ এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা ও সাপ্তাহিক আজকালের সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ, ক্লাবের উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক মইনুদ্দিন নাসের, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, টাইম টেলিভিশনের সিইও এবং সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবু তাহের, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সেক্রেটারি মনোয়ারুল ইসলাম, প্রথম আলো নর্থ আমেরিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও এক্টিভিটস সাহেদ আলম, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাউথ এশিয়ান সলিডারিটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইমরান আনসারী, সাপ্তাহিক রানার-এর সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সাপ্তাহিক আজকালের সহযোগী সম্পাদক হাসানুজ্জামান সাকী, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মুহাম্মদ সাঈদ, প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক দেশবাংলার মো: আলমগীর সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডেইলি সিটিজেন নিউজ প্রতিনিধি চৌধুরী মুহাম্মদ কাজল, কার্যকরী সদস্য ও সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি শেখ সিরাজুল ইসলাম, ইয়র্ক বাংলা সম্পাদক রশীদ আহমদ, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সাবেক সহকারী সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী দীপু, সাপ্তাহিক আজকালের সহযোগী সম্পাদক হাসানুজ্জামান সাকী, টোইম টিভির সিনিয়র ক্যামেরাম্যান আনোয়ার হোসেন বাবু প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সেক্রেটারি শিবলী চৌধুরী কায়েস।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনাই ছিল মানবিক মর্যাদা। আজকে ভিন্নমত পোষণ করলে ন্যূনতম মানবিক অধিকারটুকুও কেউ পায় না। শুধুমাত্র ভিন্নমত পোষণের কারণেই তাকে আজ ১২৫টিরও অধিক মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কারাবরণ করতে হয়েছে। সর্বশেষ প্রকাশ্যে দিবালোকে তার জীবনহানীর চেষ্টা করা হয়েছে। এটি জাতির জন্য অশনিসংকেত।
এসময় বক্তারা দাবি জানান, কুষ্টিয়ার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে বিভাগীয় বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এসময় বক্তাদের কেউ কেউ বলেন, প্রতিযোগিতাপূর্ণ রাজনৈতিক দলের অবর্তমানে সরকার দেশে যাচ্ছেতাই করছে। এটিকে এখনই থামাতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা