০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জলবায়ু পরিবর্তন কর্মশালা

-

জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদাপন্নতা চূড়ান্তকরণবিষয়ক এক কর্মশালা গত রোববার দুপুরে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সামশুদ্দোহার সভাপতিত্বে কর্মশালায় এডিপিসির গবেষণা সহযোগী মো: আসিফ রাফসান প্রকল্পের সারসংক্ষেপ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী প্রফেসর এস এম কামরুল হাসান চূড়ান্ত ফলাফল উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচি এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে শহর এলাকার দরিদ্র সম্প্রদায়ের জলবায়ু সহিষ্ণুতা সৃষ্টিতে কাজ করছে। এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও মৌলিক সেবার মান উন্নয়ন করা। পাঁচ বছরমেয়াদি এই দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি জীবিকা ও নিরাপদ জীবন উপহার দিতে ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের বাইরের অবস্থানকারী নীতিনির্ধারকেরা চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থা সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারেন না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকেরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কী পরিমাণ অসুবিধার সম্মুখীন হন, উপস্থিত আপনারা নিশ্চয় জানেন। এ নগরীতে একদিকে সমুদ্র, আরেক দিকে নদী, আরেক দিকে পাহাড়ি এলাকা। শহরের কোনো কোনো এলাকা নদী ও সমুদ্রের পানিতে দু’বার নিমজ্জিত হয়। আর অতি বর্ষণের বালু গঠিত পাহাড় ধসে পাহাড়ি পাদদেশে বসবাসকারী লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হন। তিনি এই সমীক্ষা একটি সময়োপযোগী হিসেবে উল্লেখ করে এই ধরনের সমীক্ষা আমাদের পূর্ব প্রস্তুতিতে সহযোগিতা করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিক সংরক্ষিত কাউন্সিলর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জলবায়ুর ঝুঁকি ও অবকাঠামোর অবস্থা মূল্যায়নের কার্যক্রমে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।


আরো সংবাদ



premium cement