০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নৌকা কেনা বেচার হাট

নৌকা কেনা বেচার হাট - নয়া দিগন্ত

হাওর বেষ্টিত জেলার দ্বীপ সাদৃশ্য গ্রামগুলো বর্ষায় কাঠের তৈরি নৌকা একটি অপরিহার্য পরিবহন ব্যবস্থা। বর্ষায় নৌকা ছাড়া কল্পনা করা যায় না চলা চলে। ফলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কাউকান্দি বাজারে নৌকা কেনা বেচার হাট বর্ষার শুরুতেই জমজমাট হয়ে উঠেছে প্রতি বছরের মত।

সাপ্তাহে ২দিন শনি ও মঙ্গলবার নৌকার হাট বসে। তাহিরপুরসহ পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা ও মধ্যনগড় থানার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন নৌকা কেনার জন্য ছুটে আসেন এহাটে।

জানাযায়,হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে তাহিরপুর উপজেলা একটি। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২৫১টি গ্রামের ৩লক্ষাধিক পরিবারের লোকজন বসবাস করছে। বর্ষার মৌসুমে ওইসব গ্রাম গুলোর ঘর থেকে বের হয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতে সড়ক পথের সুব্যবস্থা না থাকায় এখনও একমাত্র কাঠের তৈরি নৌকার উপর নির্ভরশীল সবাই। বর্ষায় নৌকা ছাড়া এক মুর্হুত কল্পনা করতে পারে না হাওর পাড়ের মানুষজন। ফলে নাগরিক জীবনে কদর বেড়েছে কাঠের তৈরি এ বাহনটির। তাই বর্ষার মৌসুমে অনেকে এই পেশাকে কাজে লাগিয়ে নৌকা তৈরী করে ও বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে। স্থানীয় দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি ও চতুভুজ গ্রামের রেজাউল,আয়নাল হক,শাহ জামালসহ ১৫জন নৌকার কারিগর জীবিকা নির্বাহ করছেন। তারাই বাজারে নিয়ে নৌকা বিক্রি করেন। আর নৌকা বিক্রি করার জন্য অনেক পরিচিতি লাভ করেছে কাউকান্দি বাজার।

নৌকা বিক্রি করতে আসা নৌকা কারিগর ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে যানাযায়-পুরাতন নৌকা ঠিক করতে ১৮০০-২২০০টাকা খরচ হয়। আর বিক্রিয় করা হচ্ছে ২৮০০থেকে ৩৫০০টাকায় ভাল নৌকা আরো বেশী। আর নতুন নৌকা তৈরি করতে ৪-৫হাজার টাকা খরচ হয় বিক্রিয় হয় ৬০০০-৬৫০০টাকার বেশী। গাছের দাম বেশি থাকায় নৌকা তৈরি করে লাভ হচ্ছে কম। এবছর নৌকার দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় খুব কম হওয়ায় তাদের লাভও কম।

কাউকান্দি বাজারের ব্যবসায়ী মাহবুব রহমান জানান, এখানে নৌকার হাট বসে সাপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার দুদিন। প্রতি বাজারে বেচা কেনা ভালই হয়। নৌকার ধরণ অনুযায়ী বিক্রিতা ও ক্রেতাগন নৌকার দাম নির্ধারন করেন। এখানে সবোর্চ্ছ ২০হাজার টাকার নৌকাও বিক্রি হয়। নৌকা বিক্রি করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করছে। আর এই বাজারটি নৌকার হাট হিসাবে পরিচিতি ও পেয়েছে ব্যাপক। নৌকা বেচাঁ-কেনা ঘাটের ইজারাদার বাচ্ছু মিয়া জানান,উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন হাট বাজার,স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসায় ও উপজেলা সদরে আসা যাওয়া ও বর্ষার ৬মাস জীবিকার তাগিদে উন্মক্ত জলাশয়ে মাছ ধরার জন্য নৌকা একটি অতি প্রয়োজনীয় মাধ্যম। ফলে মানুষ নৌকা কিনেন বাধ্য হয়ে। এবার নৌকা বাজারে থাকলেও নৌকার দাম অনেক কম। কারন হিসাবে তিনি জানান,এলাকায় লোকজন সবাই শহর মুখি হয়েছে কাজের সন্ধানে।

নৌকার হাটে আসা তাহিরপুর উপজেলার মৎসজীবি সবুজ মিয়াসহ অনেকের সাথে কথা বলে যানাযায়-তারা মাছ ধরার জন্য প্রতি নতুন বছর নৌকা কেনেন আর পুরনো নৌকা গুলো কম মূল্যে বিক্রি করেন। এই উপজেলায় মানুষ ৬মাস থাকে পানি বন্দী একারনে বসে থাকে না হাওরবাসী মাছ ধরার কাজে থাকে ব্যস্ত আর অন্যান্য কাজে আর একারনেই নৌকা তাদের প্রধান হাতিয়ার।


আরো সংবাদ



premium cement
ট্রাম্পের সাথে যা ঘটেছিল পর্ন তারকা স্টর্মির মধ্য বয়স থেকে যে অভ্যাসগুলো আপনার আয়ু বাড়াবে শাল্লায় ২ চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, কারাগারে ৪ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যুক্তরাজ্যের এফসিডিও'র ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ রাফায় ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে : রাশিয়া মিরসরাইয়ে জাল ভোট, ৩ নির্বাচনী কর্মকর্তা আটক উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে : মেজর হাফিজ হজযাত্রীদের জীবন আল্লাহর রাস্তায় উজাড় করে দিতে হবে : জামায়াত আমির ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনে আটক ৩, প্যানেল চেয়ারম্যানের কারাদণ্ড নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে খেলবে স্কটল্যান্ড

সকল