০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


তৃতীয় স্ত্রীর ঘরে তৃতীয় সন্তান আসছে ইমরান খানের

তৃতীয় স্ত্রীর ঘরে তৃতীয় সন্তান আসছে ইমরান খানের - সংগৃহীত

তৃতীয় স্ত্রী বুশরা মানেকার কোলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তৃতীয় সন্তান আসছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম। 

খবরে বলা হয়, ইমরান-বুশরা দম্পতি আপাতত সন্তান হওয়ার খবর গোপনই রাখতে চাইছেন। ভালো সময় দেখে আনুষ্ঠানিকভাবে খবরটি সবাইকে জানানো হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হওয়ার খবরটি ভুয়া বলে দাবি করেছেন ইমরান খানের দল তেহরিকই ইনসাফ। 

পাকিস্তানের এক সাংবাদিক টু্ইটে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের এক নেতা বাবা হতে চলেছেন। পত্রিকার খবর আর এই সাংবাদিকের টুইট প্রচার হওয়ার পরই আলোচনা শুরু হয়ে যায়। তবে সেই নেতার নাম কিন্তু সাংবাদিক প্রকাশ করেননি।

পাকিস্তানের উর্দু দৈনিক ‘উম্মত’–এর খবরে বলা হয়েছে, ইমরান খান ও বুশরা মানেকা দম্পতি তাদের প্রথম সন্তান পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায় আছেন। তবে এ দম্পতি এ খবর এখনই গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে চান না। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বুশরা মানেকার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ইমরান খান। বুশরা ইমরানের তৃতীয় স্ত্রী। বুশরা মানেকা ইমরানের কাছে সন্তান চেয়েছিলেন বলেও খবরে বলা হয়েছে।

তবে ইমরানের দল তেহরিক ইনসাফের পক্ষ থেকে বুধবার বলা হয়েছে, ইমরান–বুশরার সন্তান হওয়ার খবরটি ভুয়া। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ সহকারী ইফতেখার দুররানি ‘ডেইলি পাকিস্তান’কে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বাবা হওয়ার খবর ভুয়া। এই খবর যারা প্রচার করছে, তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেছেন, যদি এই গণমাধ্যম ক্ষমা না চায়, তবে তাদের বিরুদ্ধ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের টুইটার অ্যকাউন্টে বলা হয়েছে, ফার্স্ট লেডি বুশরা মানেকা মা হতে যাচ্ছেন—এমন খবরটি ভুয়া। প্রধানমন্ত্রী বাবা হওয়ার খবরটি ভিত্তিহীন। এমন ভুয়া সংবাদ প্রচার করার অর্থই হলো তারা সাংবাদিকতার রীতিনীতি মানেন না, মানতে চান না।

এর আগে জেমাইমা গোল্ডস্মিথের সঙ্গে ১৯৯৫ সালে ইমরানের বিয়ে হয়। জেমিমা–ইমরান দম্পতির দুই সন্তান সালমান ও কাশেম। ২০০৪ সালে জেমিমার সাখে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় পাকিস্তানকে ক্রিকেটে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দেওয়া ইমরানের। এরপরই সাংবাদিক রেহাম খানকে বিয়ে করেছিলেন ইমরান খান। রেহাম খানের সাথে তাঁর সংসার ছিল ১০ মাসের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বুশরা মানেকাকে বিয়ে করেন ইমরান।

আরো পড়ুন : জনগণের সাড়ায় অভিভূত ইমরান খান
রয়টার্স ও ডন ০২ অক্টোবর ২০১৮, ১০:০৬

লাহোর, করাচি, সিন্ধুসহ পাকিস্তানে পানির যে মজুদ রয়েছে তাতে বড়জোর আর ত্রিশ দিন চলবে। সঙ্কট সমাধানে বাঁধ নির্মাণই শেষ পথ। এমতাবস্থায় বাঁধ নির্মাণে জনগণের কাছেই হাত পেতেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর জনগণের স্বতস্ফূর্ত সাড়া পেয়ে অভিভূত তিনি।

এ মুহূর্তে দুটি বাঁধ নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে তহবিল গঠনের কাজ করছে ইমরানের সরকার। এরপর পর্যায়ক্রমে আগামী পাঁচ বছরে ছোট-বড় প্রায় এক হাজার বাঁধ তৈরি করা হবে। এতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১৪০০ কোটি ডলার। যার পুরোটাই গণতহবিল থেকে সংগ্রহ করা হবে। বিশাল পরিমাণ এ অর্থ সংগ্রহ সফল হলে এটাই হবে বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণতহবিল।


এখন পর্যন্ত পেবল টাইম স্মার্টওয়াচের জন্য কিকস্টার গণতহবিল সংগ্রহ প্রচারণা এ ধরনের সবচেয়ে বড় তহবিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, এই প্রচারণায় মাত্র ৩২ দিনে ২ কোটি ডলার সংগৃহীত হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশবাসীর প্রতি নিজের দ্বিতীয় ভাষণে ইমরান দাবি করেন, প্রবাসী পাকিস্তানিরা বিশেষ করে যারা ইউরোপে বসবাস করেন, তারা এ তহবিলে অন্তত এক হাজার ডলার করে দান করতে পারেন। আর যারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে থাকেন, তাদেরকে যার যা খুশি দান করতে বলেন তিনি।

অন্যদিকে চীনের ঋণে নির্মিতব্য রেল লাইন অবকাঠামোর প্রকল্প বাতিল করেছে পাকিস্তান। মূলত ঋণ পরিশোধের বিষয়ে শঙ্কা থেকেই দেশটির এমন সিদ্ধান্ত। অথচ ওই রেল প্রকল্পটি ‘চায়না-পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোরের’ (সিপিইসি) অংশ যা আবার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) নামে পরিচিত চীনের বৃহৎ প্রকল্পের অংশ। 

আরব সাগরের উপকূলবর্তী শহর করাচি থেকে উত্তর-পশ্চিমের পেশোয়ার পর্যন্ত ঔপনিবেশিক আমলের রেললাইন ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব দিয়েছিল চীন।  ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডে’র আওতায় প্রায় আটশো কোটির ‘চীনা সিল্ক রোড’  প্রকল্পের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট ২০১৩-তেই ঘোষণা করেছিলেন যে, এই খরচের একটা বড় অংশ দেবে চীন। কিন্তু এ সব ঋণের ফাঁদ কিনা এনিয়ে চিন্তা হচ্ছে ইমরান খানের।

ইমরানের দাবি, তাঁর পূর্বসূরি নওয়াজ শরিফ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগেই দেশের মাথায় বিস্তর ঋণের বোঝা চাপিয়ে গিয়েছেন। নগদ সঙ্কটে জেরবার তাঁর প্রশাসন গত কালই বাঁধ তৈরির জন্য ১৪০০ কোটি ডলার দানের আর্জি রেখেছে আমজনতার কাছে। চীনের প্রস্তাবিত সিল্ক রোডের ‘অনুদান’ নিয়েও তাই কোনও রকম ঝুঁকির পথে হাঁটতে নারাজ ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের নীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী খুশরো বখতিয়ারের কথায়, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের এমন কোনও বিশেষ মডেলের কথা ভাবতে হবে, যাতে পাক সরকারকে ফের কোনও ঋণের ধাক্কা সামলাতে না হয়।’

নতুন পাকিস্তানি সরকারের দাবি,  চীনের সাথে নওয়াজের আমলে হওয়া বেশির ভাগ চুক্তিই অর্থহীন এবং চীনের পক্ষে গিয়েছে। মারাত্মক রকমের ব্যয়বহুল তো বটেই।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সকল