২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


চাপের কাছে মাথানত করবে না পাকিস্তান: ইমরান খান

চাপের কাছে মাথানত করবে না পাকিস্তান: ইমরান খান - সংগৃহীত

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চাওয়াকে পাকিস্তানের দুর্বলতা হিসেবে ব্যাখ্যা করা উচিত হবে না কারণ এই সুসম্পর্ক চাওয়ার পেছনে উপমহাদেশের জনগণকে দারিদ্র থেকে মুক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে। এজন্য দু দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হওয়া দরকার।

সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তাদের এক অনুষ্ঠানে ইমরান খান বলেন, ‘তাদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি আছে। যখন আমরা বন্ধুত্ব চাই তার অর্থ হচ্ছে- আমরা উপমহাদেশের জনগণকে দারিদ্র থেকে বের করে আনার ইচ্ছা পোষণ করছি। দু দেশের মধ্যে বাণিজ্যও আবার চালু করতে হবে। এটা নিয়ে কারো ভুল বোঝা উচিত হবে না। একে দুর্বলতা হিসেবেও দেখা ঠিক হবে না।’

তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ‘পাকিস্তানের জনগণ কখনো কোনো পরাশক্তির চাপের কাছে মাথানত করবে না। যদি তারা হুমকি দেয় তাহলে পুরো জাতি ঐব্যদ্ধভাবে শেষ পর্যন্ত তা মোকাবেলা করবে।’

ইমরান খান বলেন, শুধুমাত্র পাকিস্তানের স্বার্থেই পাকিস্তান বন্ধুত্ব চায় না বরং দু দেশের জন্যই তা চায় এবং ভারতীয় নেতাদের উদ্ধত আচরণের সমাপ্তির মধ্যদিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।

 

পাকিস্তানের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ইমরান খানের চমক
ডন, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পাকিস্তান সরকারকে পরামর্শ দিতে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট অর্থনৈতিক কাউন্সিল গঠন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর এই কাউন্সিলের নেতৃত্বে আছেন তিনি নিজে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবীদও আছেন এই কাউন্সিলে।

দেশটির অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক উন্নয়নে কাউন্সিল থেকে আসা বিভিন্ন উপদেশ পরামর্শ যেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌছায় সেজন্য ইমরান খান নিজেই থাকছেন এর প্রধান হিসেবে। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

অতীতে দেশটিতে এই অর্থনৈতিক কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন দেশটির অর্থমন্ত্রী। তবে দেশটির ইতিহাসে এই কাউন্সিল খুব একটা গুরুত্ব পেয়েছে এমন নজির নেই। প্রতি চার মাসে মাত্র একবার এই কাউন্সিলের বৈঠক আয়োজিত হয়েছে এমন উদাহরণও আছে। এছাড়াও কাউন্সিলের পরামর্শ ও উপদেশ সরকার সেভাবে বিবেচনা না করায় কাউন্সিল মূলত কোন কার্যকর কোনো ফোরামে পরিণত হতে পারেনি।

তবে এবার এই কাউন্সিলের প্রতি সরকারের বিশেষ নজর থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাউন্সিলের জন্য স্থায়ী সচিবালয় বরাদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে অন্তত এক বার বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কাউন্সিলের মূল উদ্দেশ্য হিসেবে ‘সরকারকে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে অর্থ ও বাণিজ্য সংক্রান্ত উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া’ নির্ধারন করা হয়েছে।

কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে দেশটির বিভিন্ন খাতের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি বেসরকারি খাতে কর্মরত অভিজ্ঞদেরও ডাকা হয়েছে কাউন্সিলে। এদের মধ্যে সাতজন সরকারি খাত থেকে নিয়োগ পেয়েছেন। আর বাকি ১১ সদস্য এসেছেন বেসরকারি খাত থেকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement