কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত সাবেক বিজেপি নেতা

ভারত-শাসিত কাশ্মিরের দক্ষিণ অঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় এক গ্রামের সাবেক প্রধানের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের সাবেক পঞ্চায়েত প্রধান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য ছিলেন আইজাজ আহমেদ শেখ।

পৃথক আরেকটি হামলায় বন্দুকধারীদের গুলিতে উন্মুক্ত পর্যটন শিবিরে আহত হয়েছে দু’জন।

শনিবারের আইজাজ আহমেদ শেখের বাড়ির ভেতরে গিয়ে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা।

ভারতে সংসদ নির্বাচনের মধ্যে এমন হামলার ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দু’টি হামলাই হয়েছে দক্ষিণ কাশ্মিরে। অনন্তনাগ-রাজৌরি জেলায় এই দম্পতির ওপর হামলা চলে এবং একই অঞ্চলের শোপিয়ান জেলায় সাবেক গ্রামপ্রধানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

ভারতীয় দৈনিক মিন্টের মতে, বন্দুকধারীরা একটি পর্যটন শিবিরে গুলি চালায়, ওই সময় পর্যটক দম্পতি আহত হয়।

কাশ্মির পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছে, এই দম্পতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে ‘আগ্নেয়াস্ত্রের ছয়টি আঘাতে’ হাসপাতালে নেয়ার আগেই সাবেক পঞ্চায়েত প্রধান নিহত হন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা হচ্ছে
১ জুন পর্যন্ত ভারতে একাধিক ধাপে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারত-শাসিত কাশ্মিরে ইতোমধ্যেই পাঁচটি আসনের তিনটিতে ভোট হয়েছে। বাকি দু’টি আসনে ২০ মে এবং ২৫ মে ভোট হওয়ার কথা।

রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ভোটের কারণে বিভিন্ন দল অশান্ত এই অঞ্চলে প্রচারণা চালাচ্ছে। যদিও ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবারের মতো কাশ্মিরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। ভারতের শাসক দল বলেছে, তারা আঞ্চলিক দলগুলোকে সমর্থন করবে।

পরিসংখ্যান বলছে, কাশ্মিরে ভোটারদের উপস্থিতি চলতি নির্বাচনে কিছুটা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ সালে রাজ্যের আধা-স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা বাতিল করার পর এটাই প্রথম জাতীয় নির্বাচন।

পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ২০১৯ সাল থেকে কাশ্মির আরো শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হয়ে গেছে বলে বিজেপি বারবার দাবি করে এসেছে। কিন্তু বিজেপি আসলে কাশ্মিরের নির্বাচন এড়িয়ে যাচ্ছে কারণ তাদের আশঙ্কা, আসলে এক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে