০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মোদির বিরুদ্ধে প্রথম অনাস্থা! কী হবে ফলাফল?

মোদির বিরুদ্ধে প্রথম অনাস্থা! কী হবে ফলাফল? - ছবি : নয়া দিগন্ত

ভারতীয় পার্লামেন্টের 'বাদল' অধিবেশনের শুরুর দিনেই বুধবার লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। ওই অনাস্থায় সহজেই সরকার সহজেই জিতবে বলে ধারণা করা যায়।

তবে অনাস্থা নিয়ে আলোচনায় ভারতব্যাপী গণপ্রহার-সহ একাধিক বিষয় থাকায়, কোনো বিষয়টি কিংবা বিষয়গুলো প্রাধান্যের তালিকায় থাকে এখন সেটাই দেখার।

বিরোধীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শুক্রবার দিনটিকে বেছে নেয়া হয়েছে, পরের দিন কলকাতায় তৃণমূলের কর্মসূচির কারণে। কেননা সেখানে ৩৪ জন এমপি ব্যস্ত থাকবেন, সেটা ধরে নিয়েই। যদিও পরে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়ে দিয়েছেন, অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় দিল্লিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ তৃণমূলের কর্মসূচিতে উপস্থিতির আগে লোকসভায় এমপিদের উপস্থিতি জরুরি।

অন্যদিকে, শনিবার এনসিপি এমপিদের মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও, তারা লোকসভায় হাজির থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।

বিজেপির ম্যানেজারদের দাবি, মোদির শাসনে এটাই প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব। যা খুব সহজেই পরাস্ত হয়ে যাবে। কেননা স্পিকারকে ধরে এনডিএ-র হাতে রয়েছে ৩১৪ টি আসন। ৫৪৪ আসনের লোকসভায় এখন সদস্য রয়েছেন ৫৩৪ জন। যার অর্ধেক হলো ২৬৭। দুজন মনোনীত সদস্য ধরে লোকসভায় বিজেপি সদস্য সংখ্যা ২৭৩। তবে শেষমেষ বিজেপির সদস্য সংখ্যার পরিবর্তন হতেই পারে কেননা একাধিক সদস্য দলের প্রতি বিরূপ।

অন্যদিকে, লোকসভায় বিরোধীদের সদস্য সংখ্যা ২২২। যার মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-র ৬৩, এআইএডিএমকে-র ৩৭, তৃণমূল ৩৪, বিজেডি ২০, টিডিপি ১৬ এবং টিআরএস ১১। তবে প্রয়োজনে এআইএডিএমকে-এর ৩৭ জন এনডিএকে সমর্থন করতে পারে। টিআরএস-এর ১১ জন এবং বিজেডির ২০ জন সদস্য বিরোধীদের নাও সমর্থন করতে পারে। এছাড়াও রয়েছেন আইএনএলডি-র ২ জন এবং নির্দলীয় ৩ জন সদস্য।

তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, সরকারপক্ষ এই অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে বিরোধীদের মধ্যে ভাঙন ধরাতে চায়। বিজেডি, টিআরএস ও এআইএডিএমকে-র মতো দলগুলো সরকারকে সমর্থন না করলেও যাতে নিরপেক্ষ থাকে, সেই বিষয়টিও চেষ্টা করা হচ্ছে বিজেপির পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে, বিরোধীরাও জানে সংখ্যা তাদের বিপক্ষে রয়েছে। বিতর্কে অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সরকারপক্ষ তথা নরেন্দ্র মোদির সরকারকে আক্রমণ করতে চায়। মোদির সরকারের সমর্থনে যেসব দল রয়েছে, তাদের সামনেও বিষয়গুলো তুলে ধরতে চায় বিরোধীরা। মূল্যবৃদ্ধি, অসহিষ্ণুতা, জিএসটি, নোটবাতিল-সহ বিভিন্ন বিষয় তাদের বক্তব্যে তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়েছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে বিরোধীদের একজোট করার কারিগর সোনিয়া গান্ধী রহস্য জিইয়ে রেখে বলেছেন, কে বলেছে বিরোধী জোটের কাছে গরিষ্ঠতা নেই? আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যা আছে।

এদিকে বিরোধীদের অধিবেশনের বাকি সময়ে যথেষ্ট ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়ার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে সরকার। যদিও জয় নিয়ে সংশয় না থাকলেও টেনশন থেকে যাচ্ছে জোটসঙ্গীদের নিয়ে। কারণ শিবসেনা কী করবে? যেহেতু শিবসেনা জানে, তারা সমর্থন না দিলেও মোদি সরকারের কিছুই যাবে আসবে না, তাই তারা বিদ্রোহী ভাবমূর্তি বজায় রেখে ভোটাভুটিতে ঠিক কী করবে তা নিয়ে নিশ্চিত নয় বিজেপি। আর শিবসেনা যদি বিপক্ষে ভোট দেয় অথবা বিরত থাকে, তাহলে সেটা চরম অস্বস্তিকর। কারণ সরকারের অন্দরে থাকা দলই সরকারের পাশে নেই—এই বার্তা যথেষ্ট বিব্রত করবে নরেন্দ্র মোদিকে।

আবার অন্যদিকে বিজেপি যদি এনডিএর বাইরের এক বা একাধিক দলকে নিজেদের সমর্থনে নিয়ে আসতে সফল হয়ে যায় ভোটাভুটির সময়, তাহলে সেটা হবে যথেষ্ট বড় মাস্টারস্ট্রোক। আর ঠিক এটাই চাইছে দুপক্ষ। এই প্রথম সম্ভবত কোনো একটি অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হতে চলেছে যার মাধ্যমে দুই শিবিরই ভোটের সংখ্যার দিকে তাকিয়ে নেই, বরং জোটের সংখ্যার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ কোন শিবিরে কতগুলি দল! কারণ সেই রূপরেখাটি স্পষ্ট হলেই শুরু হয়ে যাবে আগামী লোকসভা ভোটের সম্ভাব্য জোট মানচিত্র নিয়ে রণকৌশল নির্মাণ।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আ’লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত : কাদের মুসলিমদের ঐক্য ও সংহতি বাড়ানোর লক্ষ্যে গাম্বিয়ায় ওআইসির সম্মেলন শুরু ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ও সেনা প্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশী আহত মধুখালীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকচালক নিহত, আহত হেলপার বরিশালে নথুল্লাবাদ টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ নয়া দিগন্তের শৈলকুপা সংবাদাতার ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ সুন্দরবনে জ্বলছে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট শায়েস্তাগঞ্জে সাবেক সেনা সদস্য ট্রাকচাপায় নিহত ইসরাইল-গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে কায়রোতে জোরদার প্রচেষ্টা

সকল