০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইমতিয়াজের নৈপুণ্যে সিলেটের জয়

বিফলে মাহমুদুল্লাহর স্বস্তির সেঞ্চুরি
-

জাতীয় ক্রিকেট লিগের টায়ার-২ এ জয় পেয়েছে সিলেট। বগুড়ায় অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে সিলেট জিতেছে সাত উইকেটে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে। দিনের অপর খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রাম ও বরিশালের মধ্যে। ওই ম্যাচ অবশ্য শেষ হয়েছে অমীমাংসিতভাবে।
বগুড়ায় সিলেট দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করেছে। মেট্রোর অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরির সুবাদে ২৭৩ করে অলআউট হয়ে যায়। কাল সকালে মাহমুদুল্লাহ তার পূর্বদিনের ৯৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে সেঞ্চুরির লক্ষ্যে পৌঁছান। ২১৪ করে ওই রান করেন তিনি এক ছ্ক্কা ও ছয়টি চারের মারের সাহায্যে। শেষ পর্যন্ত ১১১ করে আউট হয়ে যান তিনি। ২৬৫ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছিলেন জাতীয় দলের এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তবে এটাও ঠিক, ভারত সফরের দুই টেস্টম্যাচ সিরিজের আগে মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে সেঞ্চুরি ও দৃঢ়তায় নির্বাচকদের স্বস্তি এসেছে। এ দিকে এরপর আর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি দলের অপর ক্রিকেটাররা। অলআউট হয়ে যায় তারা। এতে সিলেটের সামনে জয়ের টার্গেট দাঁড়িয়েছিল ২০১ রানের। লাঞ্চের কিছুক্ষণ আগে অলআউট হয় তারা। এরপর সিলেট জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২ ওভারে ২ রান করে। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় সেশনে খেলতে নামে সিলেট। তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় এ ম্যাচে। ধারণা ছিল ড্রও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সিলেটের ওপেনিং ব্যাটসম্যান ইমতিয়াজের চমৎকার ব্যাটিং দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। চা বিরতির আগে ১০৪/১ রান সংগ্রহ করে ফেলে তারা। ফলে শেষ সেশনে জয়ের জন্য প্রয়োজন থাকে সিলেটের ৯৭ রান। হাতে ৯ উইকেট। ইমতিয়াজের রান তখন ৬০। চা বিরতির পর ইমতিয়াজ সেঞ্চুরিও করে ফেলেন। ১৭০ বলে ওই লক্ষ্যে পৌঁছান তিনি এক ছক্কা ৯ চারে। ক্রিজের এক প্রান্তে তিনি অপরাজিতই থাকেন। তাকে সাপোর্ট দেন জাকির। ৭২ রানের এক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান। পরে আফিফকে নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছান ইমতিয়াজ। জিতে যায় তারা সাত উইকেটে এ ম্যাচ। ৫২.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছান তারা। এটা সিলেটর প্রথম জয়। সাহসিকতার সাথে ব্যাটিং করে সিলেটকে জয়ের স্বপ্œ দেখানো ও সে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়া জাকির ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
দিনের অপর ম্যাচ হয় ফতুল্লা স্টেডিয়ামে বরিশাল ও চট্টগ্রামের মধ্যে। প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া বরিশাল তামিম শূন্য চট্টগ্রামকে পেয়েও হারাতে পারেনি। অবশ্য হেরে যাওয়ার শঙ্কাও ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে দৃঢ়তা দেখিয়ে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে তারা। প্রথম ব্যাটিং করে চট্টগ্রাম ৩৫৬ করার পর বরিশাল ২১৬ রান করে অল আউট হয়ে যায়। এরপর চট্টগ্রাম ১৯৫/৬ করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করলে বরিশালের সামনে জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৩৬। চট্টগ্রাম একটু বেশিই সময় নিয়ে ফেলে। এরপর বরিশাল খেলা শুরু করে ৬৫ ওভারে ১৭৪/৭ করে দিনের খেলা শেষ করলে ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। মোহাম্মাদ আশরাফুল, মোসাদ্দেক ও সানজামের দৃঢ়তায় ড্র করতে সমর্থ হয় তারা। নাইম হাসান নিয়েছিলেন চার উইকেট।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তেল আবিবে ইরাকি গ্রুপের হামলা ফিলিস্তিন সঙ্কট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মুসলিম উম্মাহ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী নোয়াখালীতে সিএনজি-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩ কোভিড ভ্যাকসিনে মস্তিষ্কে ক্ষতি, মামলা জয়ে এগিয়ে ভুক্তভোগী যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করলে হামাসকে বহিষ্কার : যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি বুমেরাং হতে পারে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে রাজধানীতে শিবিরের বিক্ষোভ রাফাহ আক্রমণের ক্ষয়ক্ষতি হবে ‘গ্রহণযোগ্যতার বাইরে’ : এন্টনি ব্লিঙ্কেন ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধস ও বন্যায় ১৫ জনের প্রাণহানি ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানি ৩৯, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক পুরোপুরি দুর্ভিক্ষের কবলে উত্তর গাজা : জাতিসঙ্ঘ দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হতে পারে

সকল