চাঁদনির চিকিৎসা খরচ যোগাতে নিঃস্ব পরিবার, মেয়েকে বাঁচাতে বাবা-মায়ের আকুতি

মেয়ের চিকিৎসা খরচ যোগাড় করতে গিয়ে সহায়-সম্বল বিক্রি করে পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তবুও হাল ছাড়েননি। মৃত্যু পথযাত্রী মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুতি জানিয়েছেন অসহায় বাবা-মা। ফুসফুস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দিন দিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইসরাত জাহান চাঁদনি (৯)।

নাটোরের বাগাতিপাড়ার পাঁকা ইউনিয়নের খাটখইর গ্রামের দিনমজুর ইদ্রিস আলী ও গৃহিনী লতিফা বেগম দম্পতির মেয়ে। চাঁদনি উপজেলার চিথলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

মা লতিফা বেগম জানান, প্রায় ৫ বছর পূর্বে পায়ে ঘা ও জ্বর নিয়ে প্রথমে মেয়ের চিকিৎসা শুরু করেন। এরপর পায়ের মাংসে পচন ধরে। এর চিকিৎসা করাতে গিয়ে ফুসফুস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয় সে। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে জমি-জমার সবটুকু বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তাদের পরিবার। বাবা ইদ্রিস আলী দিনমজুরের কাজ করে কোন মতে ঔষুধপত্র ক্রয় করছেন।

বর্তমানে রাজশাহীর বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুর রহিমের অধীনে চিকিৎসাধীন আছে চাঁদনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য অসহায় বাবা-মা মেয়েকে ঢাকায় নিতে চান। কিন্তু চিকিৎসার ব্যয় জোগাড় করা তাদের পরিবারে পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই শিশু চাঁদনিকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তাদের পরিবার।

নয়তো অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় জীবন প্রদীপ নিভে যাবে চাঁদনির। চাঁদনিকে সাহায্য পাঠাতে তার বাবার মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নম্বর ০১৭৪৩-২৭২৬৭৮ এ যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন তার পরিবার।