২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন তার থেকে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে

- নয়া দিগন্ত

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সেই সংবিধানকে হত্যা করা হলো- যে সংবিধানে এক অসাম্প্রদায়িক, সমতাপূর্ণ, ও মুক্তিচেতনায় একটি দেশ গড়ে তোলার আহ্বান ছিল। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো  তার খেসারত  আজও দিচ্ছে বাংলাদেশ । আজ বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জন করেছে কিন্তু অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও সমতাপূর্ণ সমাজ গঠনের যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন তার থেকে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সোমবার বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শোক ও স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খান। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানম।

হাশেম খান বলেন, বঙ্গবন্ধু গণমানুষের অধিকার আদায়ের নেতা ছিলেন। তিনি বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়তে কাজ করেছিলেন। তখন কার রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থায়ও তিনি নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। স্বাধীনতার পরে দেশকে গুছিয়ে নিতে তিনি বৈজ্ঞানিক ও বৈপ্লবিকভাবে পরিবর্তনের উদ্যোগ নিলেন সেটি হলো বাকশাল। বাকশালের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছিলো।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়  তারা বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে, ভাষাকে আর সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে চায়নি। বাংলাদেশের মাটিকে যদি আমাদের পায়ের নিচে রাখতে হয় তাহলে এই শোকসভার মাধ্যমে আমাদের বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে যেতে হবে। তার আদর্শ অনুসারে আমাদের কাজ করতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানম  বলেন, স্বাধীনতার পরে প্রথম যে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস তা হঠাৎ হয়নি। দেশি ও বিদেশীদের সূক্ষ্ম পরিকল্পনা ছিল। একটি সংগ্রামের যে আদর্শিক লড়াই  বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তি সেই লড়াইকে থামাতে চেয়েছিলো। তিনি হত্যার রাজনীতি বন্ধ করার জন্য সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো  তার খেসারত  আজও দিচ্ছে বাংলাদেশ । আজ বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জন করেছে কিন্তু অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও সমতাপূর্ণ সমাজ গঠনের যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন তার থেকে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে।

সভায় সঙ্গীত পরিবেশন এবং কবিতা আবৃত্তি করা হয়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী মুহিত খান  ও শিল্পী  সুস্মিতা আহমেদ। কবিতা আবৃত্তি করেন লায়লা আফরোজ  এবং আহ্কামউল্লাহ। স্মরণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রাখী দাশ পুরকায়স্থ ও সীমা মোসলেম, সংগঠন সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানা কবির,  প্রশিক্ষণ-গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদ, প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক দিল মনোয়ারা মনু, প্রকাশনা সম্পাদক সারাবান তহুরা, রোকেয়া সদন সম্পাদক নাসরিন মনসুর,আন্তর্জাতিক সম্পাদক রেখা সাহা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক বুলা ওসমান,  কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম।


আরো সংবাদ



premium cement