প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানুষের চাওয়ার দিকে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের’ উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত অনশন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এমাজউদ্দীন বলেন, ‘আপনি অনেক চালাক। আপনার যতটুকু বুদ্ধিমত্তা আছে তা দিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটা করুন। যারা ক্ষমতাকে অন্যায় ভাবে আকড়ে ধরে তাদের পরিণতি ইতিহাসের বিভিন্ন জায়গায় যেমন হয়েছে আপনার পরিণতি তেমন হবে। আপনার ন্যায় নীতি যতটুকু আছে, তা দিয়ে সাধারণ মানুষের চাওয়ার দিকে অগ্রসর হোন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এবারের নির্বাচনকে ৩০ ডিসেম্বর না বলে ২৯ ডিসেম্বর বলাই ভালো। এবার নির্বাচনের নামে মস্তবড় প্রহসন ঘটেছিল, জাতি তা দেখেছে। সেদিন এক দুঃস্বপ্ন জাতি দেখেছে।’
খালেদা জিয়ার বন্দীদশা নিয়ে প্রবীণ এই শিক্ষক বলেন, ‘আমরা দেখি দুই কোটি টাকাকে কেন্দ্র করে বেগম জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। ওই দুই কোটি টাকার একটি টাকাও অপচয় হয়নি। বরং এই টাকা বেড়ে সাত কোটি হয়েছে। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা যারা মেরেছে তাদের সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চলছেন। এ ভয়ংকর পরিস্থিতি থেকে জাতিকে মুক্তি দিন।’
সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দেশে ন্যায়বিচার আজ ভূলুণ্ঠিত। মিথ্যা মামলা দিয়ে জুলুম-নির্যাতন করা হচ্ছে। আইনের শাসন ও মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আইনজীবীদের দায়িত্ব রয়েছে।’
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নামে যে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন, তা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দিন। অন্যথায় দেশে একটা বড় গণবিস্ফোরণ হবে। সেই বিস্ফোরণে সরকারের পতন হবে। আজকের অনশন সারা বাংলার মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আমি দাবি জানাই, তার সকল মামলা স্থগিত করা হোক এবং তার সুচিকিৎসার ব্যাবস্থা করা হোক।’
সংগঠনের চেয়ারম্যান তৈমূর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে অনশনে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিকল্প ধারার সভাপতি ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী, সংগঠনের সুপ্রীম কোর্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদের, মহাসচিব এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, বিকল্প ধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান আবেদ রাজা, ঢাকা বারের সাবেক সম্পাদক খোরশেদ মিয়া আলম, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সংগঠনের সুপ্রীম কোর্ট ইউনিটের সম্পাদক আইয়ুব আলী আশরাফী, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আনিছুর রহমান খান, কো-চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান ড. ওয়াছিল উদ্দিন বাবু, মো: কামাল হোসেন, মনির হোসেন, আবদুল মতিন মন্ডল, নাছির উদ্দিন খান সম্রাট, নাজমুল হাসান, আবুল খায়ের খান, নাহিদ জুলতানা, মো: শাফিউর রহমান শাফি, মো: ইসমাইল হোসেন, মো: মুজিবুর রহমান, একেএম মুকতার হোসেন, মোস্তফা কামাল, মাহমুদুল হাসান সুমন, আজমেরী বেগম ছন্দা, আবু আল ইউসুফ খান টিপু, শামসুজ্জামান খোকা, আজাদ মাহবুব প্রমুখ।