০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঐক্যফ্রন্টের জাতীয় সংলাপ ৬ ফেব্রুয়ারি

- ফাইল ছবি

একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংলাপ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  বৈঠক শেষে জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে তাতে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। এই নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলন চালিয়ে যাবে। ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংলাপে বসছি আমরা।

জাতীয় সংলাপের এই অনুষ্ঠান কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অথবা রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে করার চিন্তা করছে ঐক্যফ্রন্ট।  মতিঝিলে গণফোরামের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপির পক্ষ থেকে কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিংবা দলটির কোনো প্রতিনিধি বৈঠকে ছিলেন না কেন?- এমন প্রশ্ন করা হলে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের সাথে কথা বলেছি। উনি অসুস্থ সেজন্য আসতে পারেননি। বৈঠকে আসার কথা ছিলো ড. আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর বাবুর। উনারা একটা জায়গায় আটকা পড়েছেন। আগামী মিটিংয়ে আমরা একসাথে হবো।

ঐক্যফ্রন্টের সাথে বিএনপির কোনো মনোমালিন্য চলছে কিনা প্রশ্ন করা হলে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘না না । আমরা প্রথমে যে অবস্থায় শুরু করেছি আমরা এখনো ঐক্যফ্রন্ট একই জায়গায় আছি। আমাদের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই।’

বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আসম আব্দুর রব আরো বলেন, আমরা নাগরিক সংলাপের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলাম। আগামী ২৮ তারিখের জন্য হলও বুকিং করেছিলাম। এই তারিখটা পরিবর্তন করা হয়েছে। আমাদের নেতা ড. কামাল হোসেন হেলথ চেকআপ করতে বিদেশ যাবেন। উনি ফিরে এলে আমরা আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এই সংলাপ করব। সমাজের সকল স্তরের শ্রেণী-পেশার এবং জনগনকে সাথে নিয়ে আমরা ধাপে ধাপে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগন যাতে ভোটের অধিকার ফেরত পেতে পারে, গণতান্ত্রিক, মানবিক ও নাগরিক অধিকার ফেরত পেতে পারে তার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত আমরা রাখবো। অস্থির হয়ে তাড়াহুড়া করে আমরা কোনো কর্মসূচি দিতে চাচ্ছি না। আমরা চিন্তা-ভাবনা করে জনগনকে সাথে নিয়ে পর্যায়ক্রমে কর্মসূচি দেবো।

জামায়াতে ইসলামী ইস্যুতে কোনো মতপার্থক্য হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জামায়াত এখানে বড় ইস্যু হলো কী রকম করে? বড় ইস্যু এখন আমাদের কাছে ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখে যে ডাকাতি হয়ে গেলো তার বিরুদ্ধে। জামায়াতের সাথে আমরা কখনো ছিলাম না, এখনো নাই। এটা আলোচ্য বিষয় হিসেবে আমাদের কাছে খুব প্রাধান্য পাচ্ছে না।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংলাপে মহাজোটের কোন দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না।

প্রধানমন্ত্রী যে সংলাপের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন সে ব্যাপারে আপনাদের অবস্থান কী? জবাবে মন্টু বলেন, আমরা তো নির্বাচনই স্বীকার করছি না। এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। আমরা মনে করি এর বিরুদ্ধে যারা আছেন, যারা মত প্রকাশ করবেন এবং আমরা মনে করি, যারা একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য পথ খুঁজে দেবেন আমাদের। সেই ধরনের মানুষ ও বাংলাদেশের মানুষ সাথে আমরা আছি।

ড. কামাল হোসেন বিদেশে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে কবে যাচ্ছেন জানতে চাইলে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, উনি শনিবার যাচ্ছেন। ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের জেএসডির আসম আবদুর রব, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement