২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান

আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, নিরপেক্ষ থাকুন : মির্জা ফখরুল

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ফাইভ স্টার মাঠে নির্বাচনী জনসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - নয়া দিগন্ত

আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ থাকার আহবান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনারা কোনো দলের নন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তাই কোনো দলের হয়ে কাজ না করে ৩০ ডিসেম্বর মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করা আপনাদের দায়িত্ব। রংপুর বিভাগে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ফাইভ স্টার মাঠে নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।

সৈয়দপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার।

জনসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৯২ হাজার মামলা আর ২৫ লাখ আসামী করে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়ে এখন বলছেন নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। এ নির্বাচন কমিশন ঠুটো জগন্নাথ। এদের অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। তাই এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই, তাই মানুষের মুখে কোনো হাসি নেই। নির্বাচনের মাঠই নেই সেখানে আবার মাঠ সমান হবে কি করে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ভোট দিয়ে ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ বাড়ি যাবেন না। ফলাফল বুঝে নিয়ে এরপর বাড়ি ফিরবেন।


জনসভায় মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নৌকা ইতোমধ্যেই পরাজিত হয়ে গেছে এবং জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যে কারণে এখন তারা কোর্টের হুমকি দেখায়, সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়ে হুমকি দেখায়। জনগণের সাথে তারা নির্বাচন করতে পারবে না বলেই আজকে তারা এসমস্ত অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রিয় বন্ধুগন ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন জাতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। কারণ এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এদেশে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। আমরা কি আমাদের দেয়া ভোটে আমাদের প্রতিনিধি প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবো? না কি স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদি শক্তি জনগণের রায়কে উপেক্ষা করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে নিবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে আমরা কি স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকবো, না কি শৃঙ্খলিত জাতি হিসেবে থাকবো। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে আমাদের এই তরুণ যুবকেরা তারা ভবিষ্যতে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে থাকবে না কি ওই শৃঙ্খলিত অবস্থায় বন্দি হয়ে থাকবে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে আমাদের মা বোনেরা তারা নিরাপদে দেশে বসবাস করতে পারবে, মাথা উচু করে চলতে পারবে, না কি সবসময় মাথা নিচু করে চলবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১০ বছরে স্বৈরাচার এবং ফ্যাসিবাদের যে একটা পাথর আমাদের বুকের উপর চাপিয়ে রেখেছে। সেই পাথর চাপা দিয়ে আমাদের সমস্ত অস্তিত্বকে তারা ধ্বংস করে দিতে চায়। তারা আমাদের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, তারা আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। তারা রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে একে একে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আদালতের কাছে যান কোনো বিচার পাবেন না, প্রশাসনের কাছে যান সেখানে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কিছু পাবেন না। আমাদের ছেলেরা আমাদের মেয়েরা চাকরির জন্য যায়, সেখানে চাকরি দেয়া হয়না।


আরো সংবাদ



premium cement
কলকাতার রাস্তায় চাকরি হারানো শিক্ষকরা শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম

সকল